বুধবার (৬ জুলাই) বিকালে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়। এ ঘটনাটি গত ৩ জুলাই বাউফল উপজেলার কালিশুরী এলাকার একটি মাদ্রাসায় ঘটে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, বাউফল পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমানের নির্দেশে মাওলানা জসিম উদ্দিন মাথা ন্যাড়া করার এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মাওলানা আনিসুর রহমান।
ঘটনার শিকার হাফেজ মনিরুল ইসলাম ভোলা সদর উপজেলার আলী নগর গ্রামের আবদুল মন্নান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে চাকরি করতেন। একজন ভাল শিক্ষক হিসাবে ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে তার সুনাম ছিল। ফলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ওই শিক্ষকের কাছে পড়াতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। বিষয়টি ওই মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমানের ভাল লাগেনি। এক পর্যায়ে এ নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়। পরে গত ঈদুল ফিতরের আগে হাফেজ মনিরুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার চাকরি ছেড়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার লাউতলী জামিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। তিনি চলে যাওয়ার পর কয়েকজন ছাত্র ওই মাদ্রাসা ছেড়ে চাঁদপুরে তার মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি হন। এছাড়া কয়েকদিন আগে বাউফল পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের জাকির হোসেনের আট বছর বয়সি ছেলে ওই মাদ্রাসা ছেড়ে হাফেজ মনিরুল ইসলামের চাঁদপুরের মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি হন। তার বাবাই চাঁদপুরে গিয়ে ছেলেকে ভর্তি করে দিয়ে আসেন। এতে ক্ষুব্ধ হন মাওলানা আনিসুর রহমান। তার ধারণা শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ওই ছাত্রকে ফুঁসলিয়ে চাঁদপুরে তার মাদ্রাসায় ভর্তি করেছেন। এরপর অভিভাবক পরিচয়ে অপরিচিত মোবাইল নম্বর দিয়ে হাফেজ মনিরুল ইসলামকে বাউফলে ডেকে আনেন। গত ৩ জুলাই কালিশুরী এলাকার একটি মাদ্রাসার রুমে আটকে রেখে মারধর করেন একপর্যায়ে ওইদিনই আনিসুরের নির্দেশে মাওলানা জসিম উদ্দিন নামের অপর এক শিক্ষক মনিরুল ইসলামের মাথা ন্যাড়া করে দেন। এসময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও সাড়ে ৪ হাজার টাকা রেখে রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মাওলানা আনিসুর রহমান জানান, এটা একটি দুঃখজনক ঘটনা। আসলে কাজটি ঠিক হয়নি। আমাদের উচিত ছিল ছেলে ধরা বা ছেলে অপহরণের অভিযোগ এনে পুলিশের কাছে পাঠানো। কিন্তু ওই সময় স্থানীয় অনেক লোকজন এসে কে কিভাবে মাথা ন্যাড়া করলো আমি নিজেও হতবাক।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন জানান, ঘটনা শোনামাত্র ওই মাদ্রাসায় পুলিশ পাঠিয়েছি। এঘটনায় এখনও অভিযোগ পাইনি। তবে শিক্ষক মনিরুল ইসলাম অভিযোগ দাখিল করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেদ আহমেদ চৌধুরী জানান, ঘটনাটি শুনিছি। খুবই বাজে কাজ। মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি।
পরিচালনা পরিষদ:
সম্পাদক: আমিনুল ইসলাম আমিন তপদার
সহ-সম্পাদক রুবেল শিকদার
জুনিয়র সহ-সম্পাদক: নাজমুল হাসান
মামুন
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: কাজী
হাবিবুর রহমান
মোঃ নুরুল হক সরকার(উপদেষ্টা)
মেহেদী হাসান স্বপন (উপদেষ্টা)
জসিম উদ্দিন তপদার (উপদেষ্টা)
উপদেষ্টা সাংবাদিক তুহিন ফয়েজ
হাজী আবুল হোসেন(উপদেষ্টা)
বার্তা সম্পাদক:আবু কাউছার আহমেদ
প্রকাশক: এডিটর: রাহুল