বিশেষ প্রতিবেদন:
বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে সমালোচনার মুখে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ওয়েবিল ও চেকিং প্রথা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার দশ দিন পার হলেও তা বন্ধ হয়নি। একাধিক গণপরিবহন কোম্পানি এখনো তাদের ওয়েবিল ও চেকিং চালু রেখেছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই নির্ধারিত স্থানগুলোতে রয়েছেন চেকার। বাসগুলো এসে ওই স্থানে থামলে ভেতরে ঢুকে ওয়েবিলে যাত্রীসংখ্যা লিখে নেমে যাচ্ছেন চেকার। নামার সময় বাসের সুপারভাইজারের কাছ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন ১০-২০ টাকা।
মানিকনগর থেকে লাব্বাইক বাসের যাত্রী মো. ইয়াসিনের সঙ্গে কথা হলে বলেন, কাজলা থেকে বৌদ্ধ মন্দির পর্যন্ত আসতে ২৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আবার মানিকনগর পর্যন্ত আসতেও একই ভাড়া দিতে হচ্ছে। কাজলা থেকে একজন চেকার গাড়িতে উঠে ওয়েবিলে সই করে দিয়েছেন।
ওয়েবিল প্রথা চালু রাখার বিষয়ে লাব্বাইক পরিবহনের এক চালকের সহকারী খায়রুল ইসলাম বলেন, মালিক পক্ষ ওয়েবিল ও চেকার অব্যাহত রেখেছেন, এখানে আমাদের কিছু করার নেই
মালিক পক্ষ তুলে দিলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আর ওয়েবিল থাকার কারণে যাত্রীদের সঙ্গে আমাদের কোনো ঝামেলা হচ্ছে না। সবকিছুই আগের মতোই আছে।’
মধ্য বাড্ডা থেকে রাজধানী পরিবহনের চেকার মো. রবি বলেন, আমাদের পরিবহনে আগের মতোই ওয়েবিল ও চেকার ব্যবস্থা আছে। এতে কোনো সমস্যা নেই, বরং এটা সবার জন্য ভালো।
তিনি বলেন, ওয়েবিল না থাকলে গাড়িতে কতজন যাত্রী উঠলেন ও কী পরিমাণ ভাড়া পাওয়া গেলো তার হিসাব পাওয়া যায় না। মালিক যাতে সঠিকভাবে ভাড়া বুঝে পান, এ জন্য ওয়েবিল রাখা হয়েছে।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি গণপরিবহন ওয়েবিল ও চেকিং পদ্ধতি চালু রেখেছে
মো. রবি আরও বলেন, আগের মতোই আমাদের প্রতিটি নির্ধারিত স্থানে চেকার আছেন। আমরা গাড়িতে উঠে ওয়েবিলে যাত্রীর সংখ্যা লিখে সই করে দিই।
ওয়েবিল হলো একটি বাস কোন স্টোপেজ থেকে কখন ছাড়লো, বাসটিতে কতজন যাত্রী আছেন, হাফ-পাস যাত্রী আছেন কিনা, থাকলে কতজন আছেন ইত্যাদি তদারকি করার একটি পদ্ধতি। মালিকপক্ষের নিয়োগ করা একজন চেকার এ কাজ করে থাকেন ও প্রয়োজনীয় তথ্য ওয়েবিলের নির্দিষ্ট কাগজে লিখে দেন।
একটি বাসের রুট কয়েকটি পয়েন্টে ভাগ করা হয় ও প্রতিটি রুটে একজন চেকার থাকেন। তারা ওয়েবিল খাতায় ওই পয়েন্টে ওই সময়ে যাত্রীসংখ্যাসহ বিস্তারিত তথ্য লিখে সই করে দেন। পরে ওই যাত্রীসংখ্যা হিসাব করে ওই পয়েন্টগুলো পর্যন্ত নির্ধারিত ভাড়ার অংক গুণ করে বাসমালিক টাকা বুঝে নেন।
গত ১০ আগস্ট ওয়েবিল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা ও এর আশপাশের শহরতলীর বাসে কোনো চেকার থাকবেন না। এক বাসস্ট্যান্ড থেকে অন্য বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার সময় বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। বাসস্ট্যান্ডের বাইরে থেকে কোনো যাত্রী তোলা যাবে না।
পরিচালনা পরিষদ:
সম্পাদক: আমিনুল ইসলাম আমিন তপদার
সহ-সম্পাদক রুবেল শিকদার
জুনিয়র সহ-সম্পাদক: নাজমুল হাসান
মামুন
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: কাজী
হাবিবুর রহমান
মোঃ নুরুল হক সরকার(উপদেষ্টা)
মেহেদী হাসান স্বপন (উপদেষ্টা)
জসিম উদ্দিন তপদার (উপদেষ্টা)
উপদেষ্টা সাংবাদিক তুহিন ফয়েজ
হাজী আবুল হোসেন(উপদেষ্টা)
বার্তা সম্পাদক:আবু কাউছার আহমেদ
প্রকাশক: এডিটর: রাহুল