বিশেষ প্রতিনিধি : দলের নিবন্ধন নিয়ে দীর্ঘ জটিলতায় রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিরোধীতার দায়ে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট দলটির নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এর পর থেকে নতুন নামে রাজনীতিতে আসার বিষয়ে দলটিতে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি।
স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া ও দলের নাম পরিবর্তনসহ বেশ কিছু সংস্কারের দাবি নিয়ে দলের ভেতরে হয়েছে বিদ্রোহও। এ নিয়ে বির্তকের জেরে জামায়াত ছেড়েছে সাবেক শিবির সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জুসহ দলের শীর্ষ নেতাদের একটি অংশ। সম্প্রতি তারাও ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবিপার্টি)’ নামে একটি দলের নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশনে।
জামায়াতের দলীয় সূত্রগুলো জানায়, নিবন্ধন বিতর্কের শুরু থেকেই দলের তরূণ নেতৃত্বের একটি অংশ, বিশেষ করে শিবিরের সাবেক নেতারা নাম পরিবর্তনসহ জামায়াত সংস্কৃারের দাবি তুলে আসছেন। তবে জামায়াতে ইসলামী নাম বাদ দিতে নারাজ ছিলেন দলের প্রবীন নেতারা। শুরু থেকেই নেতারা বলে আসছিলেন নিবন্ধন পুরোপুরি বাতিল হলে বিকল্প ভাববেন তারা। সবশেষ ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধন বাতিলের পর ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। এতে দলের ভেতর আরও বাড়ে ক্ষোভ। এরপরই আরও সরব হয় সংস্কারবাদীরা। শেষ পর্যন্ত সংস্কারবাদীদের পথেই হাটতে হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে।
জানা গেছে, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তোর আলোকে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এই নামে দলের নিবন্ধন পেতে সব প্রস্তুতিও নিয়েছে তারা। নতুন দলের নামে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কমিটিও সাজিয়ে রেখেছে তারা। সব ঠিক থাকলে দুএকদিনের মধ্যেই নিবন্ধনের আবেদন জামা দেওয়া হতে পারে নির্বাচন কমিশনে।
দলটির একাধিক সূত্র জানায়, নবগঠিত দলে প্রভাবশালী অবস্থানেও থাকছে সংস্কারবাদী তরূণ নেতারা। বিশেষ করে জামায়াতের প্রবীন নেতাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে বিতর্ক থাকায় এই দলের নেতৃত্বে আনা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জন্ম নেওয়া নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের। নতুন দলের সব কমিটিতেও রাখা হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত ব্যক্তিদের। এছাড়া দল হিসেবে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের পরিচয় থেকেও সরে আসছে জামায়াত।
তথ্য অনুযায়ী নতুন এই দলের সভাপতি হচ্ছেন জামায়াতের ডেমরা থানার আমির আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক নিজামুল হক নাঈম। জানা গেছে নিজামুল হক নাঈম শুরু থেকেই দলের সংস্কারবাদী নেতাদের অন্যতম একজন ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
পরিচালনা পরিষদ:
সম্পাদক: আমিনুল ইসলাম আমিন তপদার
সহ-সম্পাদক রুবেল শিকদার
জুনিয়র সহ-সম্পাদক: নাজমুল হাসান
মামুন
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: কাজী
হাবিবুর রহমান
মোঃ নুরুল হক সরকার(উপদেষ্টা)
মেহেদী হাসান স্বপন (উপদেষ্টা)
জসিম উদ্দিন তপদার (উপদেষ্টা)
উপদেষ্টা সাংবাদিক তুহিন ফয়েজ
হাজী আবুল হোসেন(উপদেষ্টা)
বার্তা সম্পাদক:আবু কাউছার আহমেদ
প্রকাশক: এডিটর: রাহুল