আব্দুল কাইয়ুম,সাভারঃ
আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মোশারফ হোসেন মুসা। বিতর্কিত ব্যক্তি নৌকা পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছে তৃণমূল আওয়ামিলীগ নেতা-কর্মীরসহ স্থানিয়রা।
তৃণমূলে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী না হওয়ায় রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আওয়ামীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা এই বিক্ষোভ করেন।
আওয়ামিলীগ দলিও এই প্রার্থীকে কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেনা তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
এসময় আওয়ামীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড মেম্বার সহ ইউনিয়নের কয়েক হাজার নারী পুরুষ এই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন।
এর আগে বিকেলে দলিয় প্রার্থী মুসা চুড়ান্ত হয়েছে এমন খবর শুনেই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঘোষবাগ এলাকায় তারা জড়ো হতে থাকে।
এই মিছিল গুলো একত্রিত হওয়ার সাথেসাথে রূপ নেয় বিক্ষোভ সমাবেশের। এসময় উপস্থিত হন সুমন আহমেদ ভূঁইয়া। সুমন আহমেদ ভূঁইয়া কে দেখেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে কর্মী সমর্থকেরা। এসময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মোখলেসুর রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,ইয়ারপুর ইনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হালিম মৃধা,৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আফজাল হোসেন,আশুলিয়া থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানি, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন মীর, হাজী ইউনুস আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মারুফ আলী সুমন, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমরা দল,নৌকা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়,নির্বাচন করবো ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দেখি কার জনপ্রিয়তা কতটুকু। থানা আওয়ামীলীগের এক নেতার স্বার্থে বিতর্কিত ব্যক্তিকে নৌকা এনে দিয়েছে। আমরা এটা মেনে নিতে পারিনা।
বক্তারা আরো বলেন, এই নাটক মঞ্চস্থ করার আগে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড কমিটি করা হয়েছে জামাত বিএনপির লোকদের নিয়ে। এই নেতা মোবাইলে নাম বলেছে আর মুসা ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ দিয়েছে।
এসময় সুমন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমার পিতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ১০মাসের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আপনাদের ভালোবাসায় আজ আমি সুমন আহমেদ ভূঁইয়া। আপনাদের সমর্থন পেলে আমি নির্বাচন করবো।
উল্লেখ্য, ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আহম্মদ ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর।
Leave a Reply