আবু কাউসার :-
এক সময় ঢাকা-৫ আসনে তথা যাত্রাবাড়ী, দোলাইপাড়, ডেমরা, শনিআখড়া, ধনিয়া, কাজলা, পাড়ডগাই, স্টাফকোয়াটার, মাতুয়াইল, সায়দাবাদ, গোলাপবাগ, দয়াগঞ্জ ও মীর হাজিরবাগ বিএনপি জামায়াতের ঘাটি হিসেবে পরিচিতি ছিল। এখন সেই চিত্র পাল্টে গেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ওই এলাকার অলিতে গলিতে এখন আওয়ামীলীগের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। এর পেছনে কারিগর হিসেবে যার নাম চলে আসে তিনি হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির নয়া পল্টনের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশ থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও ঢাকা-৫ আসনে কামরুল হাসান রিপনের নেতৃত্বে গোলাপবাগ, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, ধোলাইপাড়, শনিআখড়া, ধনিয়াসহ প্রায় ১০টি স্থানে অবস্থান নেয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীগের নেতাকর্মীরা। এতে ধনিয়া কলেজ প্রাঙ্গণসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মীদের খিচুড়ির আয়োজন করেন রিপন।
বিএনপির গোলাপবাগের সমাবেশকে চ্যালেঞ্জ করে কামরুল হাসান রিপন গোলাপবাগ, যাত্রাবাড়ী ও সায়দাবাদ এলাকায় কয়েক স্তরের কর্মী সমাবেশ ঘটান। এতে ভীতি সৃষ্টি হয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতার্মীদের মধ্যে। এক সময় যাত্রাবাড়ী ও চিটাগাং রোড দখলে থাকতো জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের দখলে। এবার কামরুল হাসান রিপনের কর্মীদের দখলে থাকায় চিত্র ছিলো উল্টো।
ধোলাইপাড়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে হেফাজত ইসলামের হাত থেকে রক্ষা করতে রাত দিন কর্মী বাহিনী দিয়ে পাহাড় বসিয়েছিলেন এবং করোনাকালীন সময়ে খাদ্য সমগ্রী মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছিলেন। সেই থেকে ঢাকা-৫ আসনে কামরুল হাসান রিপনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
নব্বইয়ের দশকে রাজনীতির আসেন কামরুল হাসান রিপনের। রিপন ১৯৯২ সালে দনিয়া কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৫-৯৮ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৮-২০০৩ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩-২০১০ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন রিপন। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন এবং কাউন্সিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনেও দীর্ঘদিন থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ হিসাব বিজ্ঞান সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একাউন্টটিং এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন এবং বর্তমানে তিনি ধনিয়া কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় কামরুল হাসান রিপন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ওই সময় রিপনের নেতৃত্বেই ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা হয় ছাত্র শিবিরকে। তার নেতৃত্বে শিবিরের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মূহুর্মূহু সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিজের শরীরের রক্তও ঝড়িয়েছিলেন রিপন। নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে করে শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। তখন রিপন সারাদেশে 'শিবির নিধন রিপন' হিসেবে বেশি পরিচিতি লাভ করেন।
ওয়ান ইলেভেনের লড়াই সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চার-পাঁচ বার জেল খাটা ও প্রায় ২৫ টি মামলা খেতে হয়েছে। বর্তমানে তরুনদের কাছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আইকন হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করেছেন কামরুল হাসান রিপন।
রিপন দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। জনগণের খোঁজ-খবরও নিয়মিত রাখেন। বর্তমানে মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন রিপন। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে নিয়মিত সাধারন মানুষের মাঝে ত্রাণ ও রোজাদারদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বেইে পিছিয়ে পড়া ডেমরা থানা আওয়ামীলীগের কার্যক্রম অনেকটা গতিশীলতা পেয়েছে। তিনি জনপ্রতিনিধি না হয়েও ডেমরা-যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী তথা ঢাকা-৫ আসনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নানান ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
এ বিষয়ে কামরুল হাসান রিপন বলেন, ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর স্থাপিত ভাস্কর্য ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল হেফাজত ইসলাম। তখন আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাকার লোকজন ও আওয়ামীলীগের কর্মীদের নিয়ে অবস্থান নিয়েছিলাম। করোনা মহামারিতে আমি ঢাকা-৫ আসনের এলাকায় মানুষের কাছে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছিলাম। ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের আমি গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার পর এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আশা করি ঢাকা-৫ আসনে আমি দায়িত্ব পেলে সাধারণ মানুষের জন্য আরো বেশি সেবা করতে পারবো ।
পরিচালনা পরিষদ:
সম্পাদক: আমিনুল ইসলাম আমিন তপদার
সহ-সম্পাদক রুবেল শিকদার
জুনিয়র সহ-সম্পাদক: নাজমুল হাসান
মামুন
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: কাজী
হাবিবুর রহমান
মোঃ নুরুল হক সরকার(উপদেষ্টা)
মেহেদী হাসান স্বপন (উপদেষ্টা)
জসিম উদ্দিন তপদার (উপদেষ্টা)
উপদেষ্টা সাংবাদিক তুহিন ফয়েজ
হাজী আবুল হোসেন(উপদেষ্টা)
বার্তা সম্পাদক:আবু কাউছার আহমেদ
প্রকাশক: এডিটর: রাহুল