চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থী সুস্মিত সাহার (১৬) লাশ তিন দিন পর ভেসে উঠেছে। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে ভেসে ওঠা লাশটি উদ্ধার করে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়।
সুস্মিত সাহার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার রূপায়ণ টাউন এলাকায়। তার বাবার নাম সুধাংশু সাহা। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সুস্মিত বড়। সে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে বনভোজনে আসে নারায়ণগঞ্জের ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওই পর্যটনকেন্দ্র এলাকার পাশে মেঘনায় সাঁতার কাটতে নেমে দুই শিক্ষার্থী ডুবে যায়। এর মধ্যে শাহরিয়ার ইসতিহাক ওরফে শামস (১৬) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ কিছু পরেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে সুস্মিত সাহা নিখোঁজ ছিল।
নৌ পুলিশ বলছে, ওই ঘটনার পর বনভোজনে আসা সবার নদীতে নামা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে এখানে ডুবে আরও দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জ ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অন্তত সাত শ শিক্ষার্থী গত বৃহস্পতিবার একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে করে মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে বনভোজনে আসে। একপর্যায়ে বিকেলের দিকে সুস্মিত, শামসসহ অনেকেই পানিতে গোসল করতে নামেন। কিন্তু নদী গভীর ও স্রোত থাকায় তারা দুজনই তলিয়ে যায়। তবে ওই দিনই শামসের লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু সুস্মিত নিখোঁজ থাকে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সুস্মিতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তার বাবা লাশ নিতে এসেছেন
Leave a Reply