আবু কাউসার:-বুধবার কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয় কলেজ প্রশাসন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মেয়র তাপস বলেন, শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা আপনারা নতুন একটি অধ্যায়ে সূচনা করলেন। আজকে থেকে আপনাদের জীবনের নতুন সূচনা হচ্ছে। আপনারা এ কলেজ প্রাঙ্গণে এসেছেন অনেক স্বপ্ন নিয়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন হাজার বছরের পরাধীন বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্রে পরিণত করবেন। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম রাতের প্রথম প্রহরে। তিনি যখন ঘোষণা দিলেন আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। সেই দিন থেকে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। স্বাধীনতার পর তিনি স্বপ্ন দেখলেন এ দেশ একটি সোনার বাংলা হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

‘তারই সুযোগ্য কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে আমাদেরকে আবার নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন- ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে। আমরা যেখানে দীর্ঘ ৪০ বছর আগে একটি গরিব দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলাম, সেখান থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে। আমরা হব ডিজিটাল বাংলাদেশ। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তা করেছেন। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ তার বাস্তবতা।’

মেয়র বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে এখন নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন ২০৪১ সালে আর মাত্র ১৮ বছর পরে এ দেশ উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা রূপান্তরিত হব। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন আর আপনাদের স্বপ্ন একই সূত্রে গাঁথা হয়ে গেছে। আপনাদের অভিভাবকদের বাবা-মায়েদের স্বপ্ন, আপনাদের স্বপ্ন, যেই স্বপ্ন নিয়ে আপনারা দনিয়া কলেজে এসেছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- শিক্ষা খাতে আমার সরকারের যেই ব্যয় এটা কোনো ব্যয় না। এটা আমার সন্তানের জন্য বিনিয়োগ। সেই বিনিয়োগ যত অর্থই লাগুক না কেন আমি করে যাব। আমার সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।

দনিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাহেরা বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ইতিহাসবিদ ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং দনিয়া কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য শবনম আযীম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান লায়ন মো. মাসুদ হাসান লিটন, দনিয়া কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য আবুল কাশেম পাটোয়ারী, মো. ওমর ফারুক, সালেহ মো. এনামূল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকমণ্ডলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিকালে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব পরিবেশনার পাশাপাশি জনপ্রিয় ব্যান্ড দলের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অভিভাবকেরা এতে উপস্থিত ছিলেন।