স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৮ নং কেড়ালকাতা ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তার নিজ মা,ভাই,বড় বোন।
ইউপি সদস্য সাহাজুল ইসলাম কতৃক মাকে মারপিটে অভিযোগের ভিত্তিতে কলারোয়া থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে।
কেড়ালকাতা ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাজুল ইসলাম এর বাবা দরবাসা গ্রামের মনিরুদ্দিন এবং ইউপি সদস্য সাহাজুল ইসলাম এর মাতা জাবেদা খাতুন (৭০) বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় ইউপি সদস্য সাহাজুল ইসলাম এর নামে এজাহার দায় করেছেন
উক্ত এজাহার এর তার মা বলেন
মেম্বার সাহাজুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সাথী খাতুন (২৮) পরিবারের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আমাকে মারপিট সহ বিভিন্ন ক্ষতি করে এবং হুমকি দেয়।
ইউপি সদস্য সাহাজুল ইসলামের কারনে আমার কোন মেয়ে ও ছেলেকে বাড়িতে উঠতে দেইনা ।
তার ক্ষমতা বলে সে আমার ছোট ছেলে আজিজুল ইসলামকে বাবার ভিটে থেকে বাহির করে দিয়েছে।তার মা আরও উল্লেখ করেন, সে আমাদের কোন খাওয়া পরা দেয়না। কথায় কথায় আমার মারধর করে। আমি চিকিৎসার জন্য খরচ চাইলে আমাকে চিকিৎসা খরচ না দিয়ে গত ৫ অক্টোবর আমাকে মারধর করে বুকে লাথি মারে ফেলে দেয়।
মেম্বার এর স্ত্রী সাথী খাতুন আমার চুলের মুঠি ধরিয়া উঠানে ফেলে টানা হেচড়া করিয়া বুকে পেটে লাথি ঘুষি মারিয়া জখম করে।
আমি কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে আসি। অভিযুক্তরা আমাকে ও আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে বাহির করিয়া দেওয়ার জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তার প্রতিবাদ করতে গেলে ৯ অক্টোবর সকালে আবারো অভিযুক্ত মেম্বার সাহাজুল ইসলাম বিনা কারণে আমার বাড়ির উপরে সে আমাকে লাঠি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে এ সময় প্রতিবেশী লুৎফুলনেছা আমাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা চালায় এ সময় গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে এলে আমাকেও লুৎফুল্লা নেছাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে বলেছে।
সরজমিনে গেলে ইউপি সদস্য সাহাজুল ইসলামের ছোট ভাই আরিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে জানান, আমার ভাই আমার বাবার ভিটাতেই বসবাস করে আমি ও আমার বোনরা বাড়িতে উঠতে গেলে আমাদের এলোপাতাড়ি মারধোর করে।সে আমাদের উপরে নিয়মিত নির্যাতন চালিয়ে আসছে। সে মেম্বার তাই তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না।
তার অত্যাচারে আমি আমার মা, বাবা ভিটে ছাড়া হয়ে আমার ছোট বোন এর বসতভিটা তে থাকছি,আমি এ বিষয়ে কলারোয়া প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছি।
তিনি আরো বলেন আজও আমার মাকে মারপিট করতে গেলে প্রতিবেশী এক বৃদ্ধা মহিলা ঠেকাতে গেলে সে আমার মায়ের উপরে ও সেই প্রতিবেশী মহিলার উপর এ অমানুষিক নির্যাতন করছে।
মেম্বার বলে সে যখন খুশি যাকে তাকে মারপিট করে। আমার বাপের ভিটা থেকে আমাকে বিনা কারণে কিছুদিন আগে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
মেম্বার সাহাজুল ইসলামের বড়ো বোন বলেন আমি বড়ো বোন হওয়ার পরেও আমাদের উপরে হাত তোলে,
একদিন বাপের বাড়ি আসলে সে আমার পা ভেঙ্গে দেই। সেই আমার বৃদ্ধা মা বাবা উপরে কারণে অকারণে হামলা করে, আমার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া জন্য জানাচ্ছি।
মেম্বার সাহাজুল ইসলামের বাবা মনিরুদ্দিন কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলেন, আমি ভয়ে আছি সে আমাকে ও তার মা,বোন, ছোট ভাইকে অকারণে যখন তখন মারপিট করে।
ছেলের ভয়ে মরে যাবো আমি যেকোনো সময়।মেম্বার হওয়ায় সে আমার ছোট ছেলেকে বাড়িতে আসতে দেয় না। মেয়েরা আসতে পারে না। সে সবাইকে মারপিট করে।
এলাকার বিভিন্ন স্থানীয় মানুষ বলেন, মেম্বার সাহাজুল ইসলামের বাড়িতে মাকে বিভিন্ন সময় মারপিট করে। তবে আজ সে আমাদের গ্রামের এক বৃদ্ধার উপরে ও হামলা চালায়।
এলাকাবাসী এই বিষয়ে কলারোয়া থানা পুলিশের ওসি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার নুর ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এ বিষয়েধ একটি এজাহার হয়েছে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাহাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনের যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের-কে জানান, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি অভিযোগটি মিথ্যা ও বানায়ট বলে তিনি দাবি করেন।
Leave a Reply