1. admin@nagorikexpress.com : admin :
১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| বুধবার| বিকাল ৫:১৮|
নোটিশ :
পরিচালনা পরিষদ: সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে নিরপেক্ষ সংবাদ এর সন্ধানে আজই আপনার বায়োডাটা আমাদের ইমেইল এড্রেস এ পাঠিয়ে দিন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন নাগরিক এক্সপ্রেস এর আইডি কার্ড এর মেয়াদ সম্পূর্ণ কোন সাংবাদিক নেই . সকলের আইডি কার্ডের মেয়াদ শেষ। দ্রুত আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন জনপ্রিয় পত্রিকা নাগরিক এক্সপ্রেস এর পক্ষ থেকে সবাইকে পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । বর্তমানে সারা বাংলাদেশে আইডি কার্ড ধারি আমাদের কোন সংবাদ কর্মী নেই যারা আছেন তাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাই উক্ত সাংবাদিকগণ আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলে বিবেচিত হবে না। যদি কারো আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয় তাহলে খুব শীঘ্রই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আপনি কি সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান? আপনি কি সমাজের সমস্ত অন্যায় অপরাধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখতে চান? তাহলে আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন. নিরপেক্ষ সংবাদ এর সন্ধানে। আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া যেকোনো অনিয়ম দুর্নীতি আমাদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন অথবা নিচে দেওয়া আমাদের নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে আজ ই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন.

একমাস ধরে যেভাবে কারাগারের ছাদ ফুটো করেন মেয়রের ছেলেসহ ৪ কয়েদি

Reporter Name
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪
  • ১২৯ বার পঠিত

সংগৃহিত ক্লাসিক

জেলার খবর

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে পালানোর পর আটক হয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি। তাদের একজন মো. জাকারিয়া (৩৪) বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি উলট্ট গ্রামের বাসিন্দা। এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বাকিরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী থানার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু(৬০), নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১) এবং বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চার কয়েদি ছাদ ফুটো করে বের হয়। তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকে বেরিয়ে যায়। রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে পুলিশের একাধিক টিম সংবাদ পেয়ে শহরে তল্লাশি শুরু করে। ভোর ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষী বাজার থেকে চারজনকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

বগুড়া শহরের চেলোপাড়ার যুবক আবু সাঈদ দুখু জানান, তিনি ঢাকা থেকে ফিরে রাত আড়াইটায় চেলোপাড়া পৌঁছান। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে তিনিসহ চার বন্ধু চেলোপাড়া করতোয়া নদীতে বাঁশের ব্রিজে বসে ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার পর নদীতে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাছে অনেকগুলো কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করে। তাঁরা সেখানে এগিয়ে গেলে দেখতে পান চারজন মানুষ নদীর হাঁটু পানিতে হামাগুড়ি দিয়ে তীরে ওঠার চেষ্টা করছেন। তাঁদের প্রত্যেকে সঙ্গে একটি করে ব্যাগ রয়েছে। চোর সন্দেহে চারজনকেই নদী থেকে তুলে এনে পাশের চাষী বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। চারজন নিজেদের রাজমিস্ত্রি পরিচয় দিয়ে বলেন, বেজোড়া এলাকায় ঠিকাদার তাঁদের মারপিট করে নদীতে ফেলে দিয়েছেন। তাঁরা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে এসেছেন।

তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা এবং একজনের পরনে কয়েদির পায়জামা থাকায় সন্দেহ হয়। তাঁদের ব্যাগ তল্লাশি করে নগদ ৯ হাজার টাকা, ৭০ প্যাকেট সিগারেট, একটি স্টিলের পাত, একটি স্ক্রু ড্রাইভার এবং কয়েদির কাগজ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে তাঁরা নিজেদের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং জেলখানা থেকে পালানোর কথা স্বীকার করেন। এ কারণে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল পরিমল চন্দ্র দাসকে জানাই।

পৌর কাউন্সিলর পরিমল বলেন, দুখুর মাধ্যমে খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং আমি নিজে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় একজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ এবং আমাদের লোকজন ধাওয়া করে তাঁকে আটক করে।

আবু সাঈদ দুখু জানান, আটকের পর তাঁদের ব্যাগে একটি স্ক্রু ড্রাইভার ও স্টিলের পাত পাওয়া যায়। তাঁরা জানান, একমাস আগে তাঁরা একতলা ভবনের ছাদের এক কোনায় ফুটো করার পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ী স্ক্রু ড্রাইভার ও বালতির হাতল মেঝেতে ঘষে চোখা করেন। জাফলং নামের ভবনটির ছাদ অনেক পুরোনো চুন সুরকি ও মাটির টালি দিয়ে তৈরি। তাঁরা একমাস ধরে প্রতি রাতে একজনের ঘাড়ে আরেকজন চড়ে ছাদ ফুটো করতে শুরু করেন। গত শনিবার রাত ২টার পর থেকে সেই ফুটো দিয়ে কাপড় চোপড়সহ নিজেরা বের হওয়া শুরু করে। পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেয়াল টপকে পালিয়ে জেলখানা সংলগ্ন করতোয়া নদীতে নামেন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে লোকজন সন্দেহ করবে এ কারণে তাঁরা নদী দিয়ে যেতে থাকেন।

দুখু বলেন, পলাতক চারজনের মধ্যে ফরিদ শেখের আত্মীয় বাড়ি চেলোপাড়ার পাশের নারুলীতে। তাঁরা সেখানে আশ্রয় নেওয়ার উদ্দেশে চেলোপাড়া ব্রিজের কাছে নদী থেকে তীরে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় কুকুরের দল ঘেউ ঘেউ শুরু করলে আমরা চোর সন্দেহে নদী থেকে চারজনকে আটক করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© নাগরিক এক্সপ্রেস । সর্বসত্ব সংরক্ষিত। নাগরিক এক্সপ্রেস এর প্রকাশিত প্রচলিত কোনো সংবাদ তথ্য ছবি আলোকচিত্র রেখা চিত্র ভিডিও চিত্র অডিও কনটেস্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামত এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ণ লেখক এর