ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, দেশটির সামরিক ড্রোনগুলোতে চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহারের সন্দেহ ঘিরে। বিশেষ করে, চীনা সীমান্তে নজরদারির কাজে ব্যবহৃত ড্রোনগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ কারণে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ইতোমধ্যে যাবতীয় ড্রোন থেকে চীনা যন্ত্রাংশ সরানোর নির্দেশ দিয়েছে।
তবে, ড্রোন নির্মাতা ভারতীয় কোম্পানিগুলো দাবি করেছে, তাদের তৈরি ড্রোনে কোনো চীনা যন্ত্রাংশ নেই। গত বছর দেশটির সেনাবাহিনী দেশীয় বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ড্রোন সংগ্রহ করেছিল। বর্তমানে ভারতে প্রায় ৮৪০টি ড্রোন কোম্পানি সক্রিয় থাকলেও, সম্পূর্ণ ড্রোন তৈরির সক্ষমতা খুব কম প্রতিষ্ঠানেরই রয়েছে। বেশিরভাগ সংস্থা শুধু যন্ত্রাংশ সংযোজনের কাজ করে।
ভারতের আর্মি ডিজাইন ব্যুরোর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সিএস মান বলেন, “আমাদের এখন দরকার সম্পূর্ণ নিজস্ব ড্রোন তৈরির সক্ষমতা অর্জন করা। শুধু সরঞ্জাম সরবরাহ ব্যবস্থায় নজরদারি করলেই চলবে না, বরং পুরো ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেনাবাহিনীর নজরদারি ও কৌশলগত সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিটি সেনার জন্য একটি করে ড্রোন নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য ভারত ড্রোন ল্যাব ও সামরিক ঘাঁটিগুলোতে ড্রোন হাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষার স্বার্থে ‘কাউন্টার ড্রোন’ প্রযুক্তি উন্নয়নেও জোর দিচ্ছে ভারত।
বিশ্বজুড়ে ড্রোন শিল্পের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরীণ ড্রোন বাজারের মূল্য ১১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তবে, সেই প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে স্বদেশীয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। সশস্ত্র বাহিনী ও বিশেষজ্ঞদের মতে, ড্রোন শিল্পের স্বনির্ভরতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
পরিচালনা পরিষদ:
সম্পাদক: আমিনুল ইসলাম আমিন তপদার
সহ-সম্পাদক রুবেল শিকদার
জুনিয়র সহ-সম্পাদক: নাজমুল হাসান
মামুন
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: কাজী
হাবিবুর রহমান
মোঃ নুরুল হক সরকার(উপদেষ্টা)
মেহেদী হাসান স্বপন (উপদেষ্টা)
জসিম উদ্দিন তপদার (উপদেষ্টা)
উপদেষ্টা সাংবাদিক তুহিন ফয়েজ
হাজী আবুল হোসেন(উপদেষ্টা)
বার্তা সম্পাদক:আবু কাউছার আহমেদ
প্রকাশক: এডিটর: রাহুল