সুমন সাহা, সারিয়াকান্দি।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ডেকোরেটরের ব্যবসায়ী জাকিরুল ইসলাম জিলেটু সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন । জিলেটু উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১১ বিঘা জমিতে করলা, তরমুজ,বেগুন, মরিচ, পেঁপে, পটল, ঢেঁড়স, বিভিন্ন জাতের সবজির চাষাবাদ করেছেন। গত ২৮ মার্চ থেকে জাকিরুল ইসলাম তার সবজির ক্ষেত থেকে করলা উত্তোলন শুরু করেছেন। প্রতিদিন তার সবজির বাগান থেকে ৮ থেকে ১২ মণ পর্যন্ত করলা বিক্রি করছেন। বাজারে প্রতিমণ করলা ১৪শ' থেকে ১৮'শ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সে হিসেবে প্রতিদিন তার শুধুমাত্র করলা বিক্রি থেকেই ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘরে উঠছে। তরমুজ বিক্রি করে তিনি ভালো আয় করেছেন। তরমুজের জমিতে এখন শশার বীজ বপণ চলছে।
জানা যায় জাকিরুল ইসলাম এইচএসসি পাশ করার পর চাকরির পেছনে না ঘুরে প্রথমে ডেকোরেটর ব্যবসা শুরু করেন। সেখানে বেশ ভালো সফলতা পেয়েছেন। করোনার সময় ডেকোরেটর ব্যবসায় ভাটা পরলে তার মাথায় আসে কৃষি কাজের কথা। ইউটিউব ঘেঁটে তিনি কৃষি কাজের বেশকিছু কৌশল আয়ত্ত করেন। এরপর শুরু করেন কৃষি কাজ। প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করলেও এখন অন্যের জমি লিজ নিয়ে তিনি প্রায় ১১ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন চাষাবাদ। এই ১১ বিঘা সবজির বাগানে এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। জাকিরুল ইসলামের ১১ বিঘার সবজির বাগানে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
সবজি বাগানের শ্রমিক সন্তু সরকার বলেন, জাকিরুল ভাইয়ের সবজির বাগানে আমরা প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১২ জন পর্যন্ত কাজ করছি। প্রতিদিন যা মজুরি পাচ্ছি তা দিয়ে আমাদের সংসারে যাবতীয় খরচ মোটামুটি ভালোভাবেই চলছে। আমাদের মজুরি কখনো বকেয়া রাখেনা।
জাকিরুল ইসলাম বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে আমি সবজি চাষাবাদ করছি। এতে আমি মোটামুটি সফল হয়েছি। প্রথমে মালচিং এবং মাচা তৈরি করতে একটু খরচ বেশি হয়েছে। তবে একবারের মালচিং থেকে আমি তিনটি করে ফসল ফলাচ্ছি এবং একই মাচায় এক জাতের ফসল শেষ হলে অন্য জাতের ফসল আবারো শুরু করছি। প্রথম ফসলেই আমার খরচের টাকা মোটামুটি উঠে আসবে। তার পরের ফসল গুলোতে আমার মুনাফা ঘরে আসবে। গত সপ্তাহে শিলা বৃষ্টির কারণে আমার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষাবাদের শুরু থেকে উপজেলা কৃষি অফিসের কাছ থেকে যতটুকু সহযোগিতা পাওয়ার আশা করছিলাম তা পাইনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন, উপজেলার বেশকিছু শিক্ষিত যুবক বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ শুরু করেছেন এবং তারা সফল হয়েছেন। যুবকরা চাকরির পেছনে না ঘুরে যদি বিভিন্ন ফসলাদি চাষ করেন তাহলে আমাদের দেশে বেকার যুবকের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকবে। অপরদিকে দেশে সবজির মূল্যও আনুপাতিক হারে সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
পরিচালনা পরিষদ:
সম্পাদক: আমিনুল ইসলাম আমিন তপদার
সহ-সম্পাদক রুবেল শিকদার
জুনিয়র সহ-সম্পাদক: নাজমুল হাসান
মামুন
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: কাজী
হাবিবুর রহমান
মোঃ নুরুল হক সরকার(উপদেষ্টা)
মেহেদী হাসান স্বপন (উপদেষ্টা)
জসিম উদ্দিন তপদার (উপদেষ্টা)
উপদেষ্টা সাংবাদিক তুহিন ফয়েজ
হাজী আবুল হোসেন(উপদেষ্টা)
বার্তা সম্পাদক:আবু কাউছার আহমেদ
প্রকাশক: এডিটর: রাহুল