
মোঃ নিজাম উদ্দিন হারুনঃ
মেজর জেনারেল( অঃ) তারেক সিদ্দিকীর বিগত আওয়ামিলীগ সরকারের ১৬ বছর দায়িত্ব ছিল বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গুম-খন করে সকল সহায়সম্পদ লুটে নেয়া, তিনি বিগত আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে কতগুলো খুনের সাথে জড়িত তা হয়তো নিজেও বলতে পারবেন না, আর এসবের হিসাব রক্ষক ও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করতেন মোঃ সুমন, সুমন একজন অতি চালাকচতুর প্রকৃতির লোক তিনি যখন দেখলেন তার পাপের ওজন অনেক হয়েছে তার ধারণ ক্ষমতার বাহিরে তখন কৌশলে সাবেক মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর কাছে অনুরোধ করেন তাকে যেন একটি সরকারি চাকরির বেবস্থা করে দেয়া হয়, সুমন যতটা চালাকচতুর তার চেয়ে লক্ষ গুণ চালাক মেজর জেনারেল অঃ তারেক সিদ্দিকী তিনি সুমন কে জানান তোমাকে সরকারি চাকরির বেবস্থা করে দিব আর একটা কাজে তোমাকে সরাসরি থাকতে হবে সেই কাজটি শেষ হলেই তুমি হবে সরকারি একজন চাকরি জিবি, তাহলে কাজটি কি শুনলে হয়তো আপনি অবাক হবেন কাজটি ছিল বিএনপির সিনিয়র নেতা ইলিয়াস আলী কে গুম করে হত্যার কিলিং মিশন সেই মিশনে ডিজিএফআইয়ের সদস্যদের সঙ্গে মনিটরিং করে আপডেট দিতে হবে তারেক সিদ্দিকীর কাছে যতক্ষণ মৃত্যু নিশ্চিত না-হয়, এর কারণ ছিল ডিজিএফআইয়ের সদস্যদের উপর তখন শতভাগ বিশ্বাস রাখতে পারেন নাই তারেক সিদ্দিকী তাই তার একান্ত বিশ্বাসাস্ত সুমন কে দেয়া হয় তাদের সঙ্গে ইলিয়াস আলী হত্যার পরে ২০১৫ সালের শেষের দিকে সুমন কে দেয়া হয় বাংলাদেশ আনসার ভিডিপির মেশনের চাকরি যার ছিলনা কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পুর্ন অবৈধভাবে বিনা পরিক্ষায় তাকে দেয়া হয় চাকরিটা, চাকরি হওয়ার পরেও ২ বছর অফিসের কাজে যোগদান না করে থাকেন তারেক সিদ্দিকীর বাসায় সেই ২ বছর সুমনের বেতনের টাকা অফিস থেকে অন্য সদস্যরা স্বাক্ষর করে তুলে তারেক সিদ্দিকীর বাসায় সুমনের কাছে পৌঁছে দিতেন এমন কয়েকজন আনসার সদস্যের জবানবন্দী আমাদের কাছে এসেছে, এবং সুমনকে এখনো আনসার ভিডিপির কয়েকজন উপপরিচালক ছত্রছায়া দিয়ে রেখেছেন বলে আমাদের কাছে প্রমাণ এসেছে, বিগত জুলাই মাসে সুমনের বিষয় কয়েকটি পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয় তখন আনসর ভিডিপির সদরদপ্তর থেকে সিএ মনিটরিং রবি নামে একজন ফোন করে তথ্য জানতে চান গণমাধ্যম কর্মীর কাছে যে, নিউজের কি সত্যতা আছে, এখন প্রশ হলো অভিযুক্ত ব্যাক্তির তথ্য কি গণমাধ্যম কর্মী দিবেন নাকি সংস্থার কর্মকর্তারা তদন্ত করবেন ঘটনার সত্যতা, সেই থেকে সুমনের বিরুদ্ধে এতএত অভিযোগ থাকা স্বতেও নেয়া হয়নি কোন বেবস্থা তাহলে কি এখনো খুনি হাসিনা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে বাংলাদেশ আনসার ভিডিপির কার্যক্রম যদি তাই নাহয় তাহলে কেন নেয়া হয়নি সুমনের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বেবস্থা, আনসার সদস্য সুমনের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করায় উল্টো সংবাদ কর্মীকে দিয়ে আসছেন নানান ধরনের হুমকি ধামকি, এখন প্রশ্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আনসার সদস্য সুমন কি অনেক ক্ষমতাসীন নাকি মেজর জেনারেল অঃ তারেক সিদ্দিকীর ইশারায় চলছে আনসার ভিডিপির কার্যক্রম, আরো বিস্তারিত ডকুমেন্টস সহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে সরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর।