এম এ মতিন (নওগাঁপ্রতিনিধি) : নওগাঁর মান্দায় ইসলামী ব্যাংক পিএলসি তে এস আলম কর্তৃক অবৈধভাবে নিয়োগ কৃতদের ছাঁটাইয়ের দাবিতে গ্রাহক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (৬অক্টোবর)বেলা ১১ টার সময় ইসলামী ব্যাংক মান্দা শাখার সামনে ইসলামী ব্যাংকে এস আলম কর্তৃক অবৈধভাবে নিয়োগকৃতদের ছাঁটাইয়ের দাবিতে গ্রাহকদের বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত মানববন্ধনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষক, কৃষক সহ সর্বশ্রেণীর গ্রাহক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ মানববন্ধনে ব্যাংকের বিনিয়োগ গ্রাহক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুর নবী বলেন, এস আলম ইসলামী ব্যাংকের দখল নেয়ার পর এ ব্যাংক ধ্বংসের নীলনকসা আঁকতে থাকে। এর প্রথম ধাপে ব্যাংকের সেবার মান ধ্বংস করতে পটিয়ার পানের দোকানদার, বাড়ির কাজের বুয়া,অটো চালক, রাজমিস্ত্রির সহকারী ও সাম্পানের রংমিস্ত্রী সহ বিভিন্ন শ্রেণির অশিক্ষিত ও অর্ধ্বশিক্ষিত ৮৩৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয় কোন বিজ্ঞাপন ও চাকরির পরীক্ষা ছাড়াই মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে। নিয়োগকৃত এ সব কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মধ্যে অনেকেই ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ব্যাংকে যোগদান করে।
ব্যাংকের গ্রাহক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খন্দকার আব্দুর রহিম বলেন, বিগত বছরগুলোতে শুধুমাত্র চট্টগ্রামের লোক নিয়োগ দেয়ায় অনেকটা আঞ্চলিক ব্যাংকের মতো হয়ে যায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই ব্যাংক। তারা অফিসে সব সময় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলত। বারবার তাগাদা দেয়ার পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করেনি বরং দিন দিন তাদের উদ্ধত আচরণ আরো বেড়েছে। তাদের অদক্ষতা ও দুর্ব্যবহারের ফলে গ্রাহক সেবার মান চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রাহক সেবায় ইসলামী ব্যাংকের যে সুনাম ছিল তা তলানিতে চলে যায়। তাদের ভাষা বুঝতে না পারা এবং সেবার মান নিম্ন হওয়ায় গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। তাদের যোগ্যতা পূনর্মূল্যায়নের জন্য সম্প্রতি ব্যাংকের পক্ষ থেকে যে বিশেষ দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা নেয়া হয় তা বয়কট করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অবাধ্যতা প্রকাশ করে প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মকর্তা। তারা ব্যাংকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অপপ্রচার করে সংবাদ সম্মেলন করছে এবং বর্তমান ম্যানেজমেন্টকে নানাবিধ হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এসব কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে শুক্রবার ভোরে তারা ব্যাংকের ফেসবুক পেইজ হ্যাক করে। কতিপয় সন্ত্রাসীর ইন্ধনে তারা এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।
এস আলমের নিয়োগকৃত এসব কর্মকর্তার বেশিরভাগই পেশাগত দক্ষতা ছিলনা। তারা এস আলমের ক্ষমতা দেখিয়ে কলিগদের সাথে দুর্ব্যবহার ও ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা না মেনে খেয়াল খুশিমত চলত। নিজেদের পছন্দমত চট্টগ্রাম অঞ্চল ও সুবিধাজনক জায়গায় বদলি করতে বাধ্য করত। ম্যানেজার বা ঊর্ধ্বতন কেউ তাদের নিয়মের মাঝে আনতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পোষ্টিং বা চাকরি হুমকির মধ্যে ফেলত। তাদের ক্ষমতা ও ঔদ্ধত্বের কারণে আতংকের মাঝে থাকত সবাই।
এসব কর্মকর্তারা ব্যাংকের ম্যানেজার ও জোনাল হেড সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আতংকের মাঝে রাখত। জাতীয় নির্বাচনের পর তারা এস আলম সহ আগের যায়গায় ফিরে আসবে বলে এখনও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গ্রাহক আকতার হোসেন বলেন, এস আলমের অবৈধ নিয়োগ দেয়া এসব কর্মকর্তাদের পিছনে বছরে ব্যাংকের ক্ষতি প্রায় ১৫০০ কোটি টাকারও বেশি বলে জানা গেছে। সেই হিসেবে ৭ বছরে প্রায় ১০ হজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাংকটি। একদিকে ব্যাংকের এক লক্ষ কোটি টাকার উপরে লোপাট অন্যদিকে ব্যাংকের ঘাড়ে অবৈধ নিয়োগকৃত এতবড় খরচের বোঝা টেনে সামনে এগিয়ে যাওয়া ইসলামী ব্যাংকের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গ্রাহক জয়নাল আবেদীন ,খলিলুর রহমান, মেহেদী হাসান, মিজানুর রহমান মিজান, শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ।#
পরিচালনা পরিষদ:
সম্পাদক: আমিনুল ইসলাম আমিন তপদার
সহ-সম্পাদক রুবেল শিকদার
জুনিয়র সহ-সম্পাদক: নাজমুল হাসান
মামুন
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: কাজী
হাবিবুর রহমান
মোঃ নুরুল হক সরকার(উপদেষ্টা)
মেহেদী হাসান স্বপন (উপদেষ্টা)
জসিম উদ্দিন তপদার (উপদেষ্টা)
উপদেষ্টা সাংবাদিক তুহিন ফয়েজ
হাজী আবুল হোসেন(উপদেষ্টা)
বার্তা সম্পাদক:আবু কাউছার আহমেদ
প্রকাশক: এডিটর: রাহুল