আমিনুল ইসলাম জনি
নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী,দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের দফায় দফায় হামলায় পুলিশসহ ২৬ ব্যক্তি আহত হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুরসহ ১০টি হোন্ডা ভাংচুর ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার(২৭শে মে) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এ হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মনোহরদী উপজেলার চরমান্দালীয়া ইউপি নির্বাচনে প্রতীক লাভের পর দু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এ সব ঘটনা ঘটে।শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের সমেদ চান্দের বাজার সংলগ্ন স্থানে প্রথম ঘটনাটি ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কাদির ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনিছ উদ্দীন শাহীনের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়।এতে কমপক্ষে ১৫ ব্যক্তি আহত ও ১০ টি হোন্ডা ভাংচুর হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার পর শাহীনের লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে। পরে তারা পুনরায় সংগঠিত হয়ে রাত ৯ টার দিকে মাষ্টার বাড়ী মোড়ের চরমান্দালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালায়।তারা সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থীর নেতৃত্বে চড়াও হয়ে আসবাব পত্র ভাংচুর করে ও তারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিও সেখানে ভাংচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে উপস্থিত চরমান্দালীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজহারসহ ৬ নেতাকর্মী তাদের মারধোরে আহত হন বলে আজহার অভিযোগ করেছেন।এলাকায় টহলরত পুলিশ দল হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে চাইলে তারা পুলিশের উপরও আক্রমন করে। তারা পুলিশের গাড়ীতেও ভাংচুর ঘটায়। মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন জানান,সেখানে এক এএসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ যুবক থানায় আটক রয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে ২৫ জনের নামোল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে।আহত পুলিশ সদস্যরা মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে সেখানকার জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
Leave a Reply