মো: সরোয়ার হোসেন: ভাঙ্গা( ফরিদপুর) ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলষ্টেশন থেকে পদ্মা সেতুর উদ্যেশ্যে পরীক্ষা মূলক ভাবে বিশেষ ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মো: নুরুল ইসলাম সুজন।উদ্বেধনকালে প্রধান অতিথি রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আগামী অল্প দিনের মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা টু ভাঙ্গা রেল চলাচলের উদ্বোধন করবেন।মঙ্গলবার(৪ঠা এপ্রিল )দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেল স্টেশনে ফিতা কেটে পরীক্ষামূলক রেলের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় মন্ত্রী বলেন, সরকারের আরো একটি বড় সাফল্য পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল উদ্বোধনকে ঘিরে। এই সাফল্য আমাদের সকলের। রেল মন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে ভাঙ্গা রেল স্টেশন ও জংশন থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশ্যে ২৫ সিটের ট্র্যাক কার ও ছয়টি বগি নিয়ে যাত্রা করেন ।
এ সময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন,বিশেষ অতিথি চিফ হুইপ নুরে-আলম চৌধুরী লিটন ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী কে এম এনামুল হক শামীম এমপি,
এছাড়া আরো ছিলেন,ফরিদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য নাঈম রাজ্জাক, পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো:শাহজাহান পিপিএম, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদুল হাসান ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ভাঙ্গা সার্কেল) হেলাল উদ্দিন ভূইয়া,অফিসার ইনচার্জ মো জিয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিসিয়াল বৃন্দ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসাল্টেন্ট ও সিআরইসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ ও টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। একটি গ্যাংকার। তার পিছু পিছু যাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সদ্য কেনা বগিতে তৈরি একটি যাত্রীবাহী ট্রেন। গত বছরের ২৫ জুন দ্বিতল পদ্মা সেতুর আপার ডেক (ওপর তলা) যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্যাংকারটি (পরিদর্শন ট্রেন) ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এরপর ছয় বগির একটি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়ায় যাবে। বগিগুলো কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হয়েছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ট্রেনে যাত্রী হয়েছেন আবার সেতু পার হয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা জংশনে ফিরবে।
গত বছরের ২০ আগস্ট ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটর দীর্ঘ পদ্মা সেতুর লোয়ার ডেকে (নিচতলা) রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ছয় মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্নের লক্ষ্য ছিল।
আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকার কমলাপুর থেকে মাওয়া, পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে। রেলমন্ত্রী যদিও একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছিলেন বতর্মান ২৩ সালের জুনেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। তবে প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বরে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে চলবে ট্রেন।
ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজ পরিকল্পনার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে। আরও ৫ থেকে ৬ মাস লাগতে পারে। এ বছরেই ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলবে। আগামী বছরে জুনে যশোর পর্যন্ত
যাবে রেল।
ভাঙ্গা জংশন থেকে পদ্মা সেতুর পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত নব-নির্মিত ৩২ কিলোমিটর রেলপথে আগেও পরীক্ষামূলক ট্রেন চলেছে। তবে আজই প্রথমবারের মতো সেতু পার হবে ট্রেন। পরীক্ষামূলক চলাচল অব্যাহত থাকবে। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলে সক্ষম পদ্মা সেতুর রেলট্র্যাক কার।
পদ্মা সেতুর মতো কারিগরি বাধায় পড়েছিল রেললাইন স্থাপনের কাজও। সেতুর ওপরতলায় গাড়ির চলাচলের কারণে সৃষ্ট কম্পনে রেললাইন স্থাপনের কাজ বিঘ্নিত হবে কিনা তা যাচাই-বাছাইয়ে দুই মাস লেগে যায়। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মালামাল আমদানিতেও সমস্যা হয়। শেষ স্লিপারটি আকাশ পথে চীন থেকে দেশে আনা হয়। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার হলেও পাথরবিহীন রেলপথ বসানো হয়েছে ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার।
মো: সরোয়ার হোসেন
ভাঙ্গা, ফরিপুর।
মোবাইল ঃ ০১৭৩১৭১১৯৪৭
তাং ০৪.০৪.২৩
Leave a Reply