টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ- রাইছুল ইসলাম
টাঙ্গাইলে আনারসের উৎপাদন বাড়লেও বিক্রি কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। চাহিদা কম থাকায় পচনশীল এ পণ্যটি কম দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
টাঙ্গাইল পৌর শহরের আনাচে কানাচে খুচরা আনারস ব্যবসায়ীরা, আগে প্রতিদিন গড়ে ২৫০-৩০০ পিস আনারস বিক্রি করলেও এখন সর্বোচ্চ ৮০ পিস বিক্রি করতে পারেন। যে আনারস ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি করতেন, সেই আনারসের দাম বর্তমানে ৩০-৪০ টাকা। আগের মতো আনারস বিক্রি হয় না। রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর ভয়ে এখন আর ক্রেতারা তেমন আনারস কিনতে চান না। এ কারণে দিন দিন আনারসের চাহিদা ও দাম কমছে। তাছাড়া, আনারসের স্বাদ না থাকায় ক্রেতারা অন্য ফলে ঝুঁকছেন।
সরেজমিনে মধুপুরের গারো বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মধুপুর, ঘাটাইল ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের পাঁচ শতাধিক চাষি দলবেঁধে সাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যানে করে আনারস নিয়ে এসেছেন। এ পাইকারি বাজারে ১০০ পিস আনারস আকারভেদে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিদিন ভোরে শুরু হওয়া এ বাজার চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। প্রতিদিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪৫ লাখ টাকার আনারস এই বাজারে বিক্রি হয়। পরে তা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইল জেলায় ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মধুপুর উপজেলাতেই ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় ১৪০ হেক্টর বেশি। এবার ৪ হাজার ৮৮ হেক্টরে জায়েন্ট কিউ, ২ হাজার ৭৪০ হেক্টরে হানিকুইন এবং ১২ হেক্টর জমিতে নতুন জাতের এমডি-২ আনারস চাষ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেছেন, টাঙ্গাইল জেলায় প্রায় ৮ কোটি পিস আনারস উৎপাদন হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১১৬ কোটি টাকা। আনারসে হরমোনসহ ক্ষতিকর কীটনাশক না মেশাতে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
Leave a Reply