তুহিন ফয়েজ, মতলব ( চাঁদপুর) চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। চলতি মৌসুমে এই সূর্যমুখী ফুল চাষ করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। ইতোমধ্যে গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে। জমিতে সূর্যমুখীর হাসি ছড়াচ্ছে চারিদিকে।
উপজেলার দেয়ান্জি কান্দি গ্রামে দেখা গেছে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য। সূর্যমুখীর সৌন্দর্য দেখতে আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা জমির পাশে ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলছেন।
এছাড়ও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রনদোনা নিয়ে ৭ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকগণ ৷
কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, আমি গত বছরেই ফুলের চাষ করে সফলতার সম্ভাবনা দেখায় এই বছর ১৮ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে সূর্যমুখী ফুল চাষে ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সূর্যমুখী ফুল থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হবো ৷
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী দিনে উপজেলার অন্যান্য এলাকায় যাতে এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায়, সে জন্য কৃষকদের বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। অন্যান্য তেলের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলের তেলের চাহিদা বেশি। তাই আমরা এই তেলজাতীয় ফসল চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এবছর উরজেলার ষাটনল ইউনিয়নে ৩৩ শতাংশ, সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নে ৩৩ শতাংশ,দুর্গাপুর ইউনিয়নে ৬৬ শতাংশ,মোহনপুর ইউনিয়নে ৩৩ শতাংশ, এখলাছপুরইউনিয়নে ৩৩ শতাংশ,জহিরাবাদ ইউনিয়নে ৩৩ শতাংশ, ফতেপুর পচ্ছিম ইউনিয়নে ৬৬ শতাংশ,ফরাজিকান্দি ইউনিয়নে ৩৩ শতাংশ, ইসলামাবাদ ইউনিয়নে ৬৬ শতাংশ, সুলতানা বাদ ইউনিয়নে ৩৩ শতাংশ, গজরা ইউনিয়নে ৬৬ শতাংশ, ছেংগারচর পৌর সভায় ৬৬ শতাংশ,কলাকান্দা ইউনিয়নে ৩৩ শতাংশ ও বাগান বাড়ি ইউনিয়নে ৩৩ শতাংশ সহ মোট ৭ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে ৷
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, এবছর সূর্যমুখী চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ৭ একর এবং ৭ একর জমিতেই সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে ৷
Leave a Reply