রিপোর্টার সানি তপদার:
রাজধানীর খিলক্ষেত বিশ্বরোড হয়ে ৩০০ ফিট যেন এখন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য সন্ধ্যা নামলেই ছিনতাইকারীরা প্রাইভেট কার নিয়ে চিন্তাইয়ের কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়েন।
এদিকে প্রশাসন একদিক দিয়ে ব্যস্ত থাকলে অন্য দিক দিয়ে ছিনতাইকারীরা তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে যান সাধারণ মানুষ থাকেন আতঙ্কে বিশেষ
করে রাতের বেলা যারা ৩০০ ফিট নিলাম মার্কেট পরিবার নিয়ে একটু শান্তি র জন্য ঘুরতে যান ।
আসার সময় তারা যদি অটো রিক্সা দিয়ে আসেন তখন পিছন থেকে ফলো করে প্রাইভেটকার যোগে ছিনতাইকারীরা অটোরিকশা সামনে এসে আস্তে গাড়ির স্লো করে করে ছিনতাই করে থাপিয়ে নেন সাধারণ জনগণের সাথে থাকা তাদের মোবাইল ব্যাগ মানিব্যাগ চেইন ইত্যাদি। এমনও ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারী চক্রের সাথে অটোরিকশা চালকরা কিছু কিছু লোক জড়িত আছেন। এরকমই একটি ঘটনা গতকালকে আমাদের সামনে ঘটে গেল তা নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীর পরিবার সামির আহমেদ দীর্ঘদিন সৌদি আরব থাকার পর দেশে এসেছেন ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটু ঘোরার জন্য তার বাসা খিলক্ষেতে তিনি খিলক্ষেত থেকে নীলা মার্কেট যান ঘুরতে রাতের বেলা আসার সময় অটো যোগে যখন আসছিলেন তখন দেখা যায় একটি প্রাইভেট কার তাদের অটো রিক্সার পাশ দিয়ে ঘেঁষে তার বড় কন্যার হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেন অবশ্য ছিনতাইকারীরা ভেবেছিল ওইটা হয়তো টাকার ভ্যাক কিন্তু টাকার ব্যাগ না হলেও বাচ্চাটি খুবই ভয় পান এবং পড়ে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত মেয়েটি অটোরিকশা থেকে পড়ে যাচ্ছিল।এমনও তো অবস্থায় মেয়েটির বাবা এবং তার খালাম্মা তাকে ধরে ফেলেন এবং ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যান ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত কিছু এগিয়ে প্রশাসন দেখতে পেলে হাতে ডান পাশে তাদেরকে জানান কিন্তু ততক্ষনে ছিনতাইকারীরা হারিয়ে যায় এখন সামীর সাহেবের প্রশ্নে হচ্ছে তিনি বলেন সাধারণ মানুষ এখান দিয়ে ঘুরতে যাবার জন্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে সাধারণ জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
গতকালকে আমার সাথে যে ঘটনাটি ঘটে গেছে সেই ঘটনা যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয় তাই প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এবং প্রশাসনের টহল বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
সামির সাহেবের মেয়ের নাম পিয়াসা জানা যায় পিয়াশার গলায় থাকা স্বর্ণের চেনটি ছিনতাই করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।
Leave a Reply