1. admin@nagorikexpress.com : admin :
১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| হেমন্তকাল| শুক্রবার| রাত ১২:৩৯|
নোটিশ :
পরিচালনা পরিষদ: সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে নিরপেক্ষ সংবাদ এর সন্ধানে আজই আপনার বায়োডাটা আমাদের ইমেইল এড্রেস এ পাঠিয়ে দিন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। বর্তমানে আমাদের প্রতিটি প্রতিনিধির ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার:পান্না আক্তার মহিলা রিপোর্টার গাজীপুর সদর. মোঃ নুরুজ্জামান ঠাকুরগাঁও জেলা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রতিনিধি 01303691274 মোঃ ফজলুর রহমান ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি 01718779024 আব্দুল মতিন মুন্সী বোয়ালমারী উপজেলা, ফরিদপুর জেলা মোবাইল নম্বর ০১৬৪৪৫১১৪৮১ মো: আবদুল্লাহ নুর পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি মোবাইল :01903942440 মো: আব্দুর রউফ, পাবনা সাঁথিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোবাইল :০১৭২৩৫৫২৬৩১ মোঃ মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, মোবাইল -01902300500 নামঃ মোঃআরাফাত গাজীপুর সদর উপজেলা মোবাইলঃ০১৯৮৬০৪৯৮০০ মোঃ সরোয়ার হোসেন ভাঙ্গা উপজেলা , ফরিদপুর। মোবা: ০১৭৩১৭১১৯৪৭ নাম: মোঃ জুবায়ের রহমান অনিক প্রতিনিধির এলাকা: বংশাল থানা, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭৭৮২-৫৩১৪৪ . সকলের আইডি কার্ডের মেয়াদ শেষ। দ্রুত আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন জনপ্রিয় পত্রিকা নাগরিক এক্সপ্রেস এর পক্ষ থেকে সবাইকে পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । বর্তমানে সারা বাংলাদেশে আইডি কার্ড ধারি আমাদের কোন সংবাদ কর্মী নেই যারা আছেন তাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাই উক্ত সাংবাদিকগণ আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলে বিবেচিত হবে না। যদি কারো আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয় তাহলে খুব শীঘ্রই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আপনি কি সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান? আপনি কি সমাজের সমস্ত অন্যায় অপরাধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখতে চান? তাহলে আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন. নিরপেক্ষ সংবাদ এর সন্ধানে। আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া যেকোনো অনিয়ম দুর্নীতি আমাদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন অথবা নিচে দেওয়া আমাদের নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে আজ ই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন.

সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার উপকরণের বাজারে কুটির শিল্পের জোয়ার

Reporter Name
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৯৮ বার পঠিত

জলিলুর রহমান জনি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই স্থানীয় হাট-বাজারে মাছ ধরার উপকরণের বিক্রি বেড়েছে। এই উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে জাল, চাঁই, ধিয়াল, ধুন্ধি, চাবি (ছোট পলো), খালই ইত্যাদি। বাঁশ ও বেতের তৈরি এই কুটির শিল্পের পণ্যগুলো স্থানীয় কারিগররা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন। ফলে আর্থিকভাবে তারা লাভবান হচ্ছেন।

সলঙ্গা থানায় প্রায় শতাধিক পরিবার সারা বছর বাঁশের তৈরি কুটির শিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেকেই দীর্ঘদিনের এই পেশায় স্বাবলম্বী হয়েছেন। ভেংড়ী গ্রামের কারিগর খিতিশ চন্দ্র জানান, আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাব বিভিন্ন পেশায় পড়লেও বাঁশ-বেতের কুটির শিল্প এখনও টিকে রয়েছে। যদিও প্রযুক্তির কারণে পেশাদার অনেক কর্মী অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন, তবুও এই শিল্পের সাথে জড়িতরা এখনও মোড়া, চেয়ার, দোলনা, ঝুড়ি, দাড়ি-চাটাই, খাঁচা ইত্যাদি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

বর্ষা ঋতুতে যখন নদী-নালা ও খাল-বিল পানিতে ভরে যায়, তখন স্থানীয় মানুষ ও মৎস্যজীবীরা ধুন্ধি, জাল, ভাইর, চাবি, পেঁচা দিয়ে মাছ ধরায় মেতে ওঠেন। এই সময় বাজারে এসব উপকরণের চাহিদা বেড়ে যায়। উত্তর পাড়ার কুটির শিল্পী সবুজ শীল জানান, আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত এসব উপকরণ বেশি বিক্রি হয়। এই তিন মাসে কারিগররা মোটা অংকের আয় করেন, যা সারা বছরের আয়ের একটি বড় অংশ হিসেবে গণ্য হয়।

কুটির শিল্পের দক্ষ কারিগরগণ মোরাল বাঁশের শলা, তালের আঁশ, লাইলং সুতা, ও গুনা তার দিয়ে ধুন্ধিয়া, ভাইর, চাবি, পেঁচা, খালই ইত্যাদি তৈরি করেন। তিনি আরো বলেন, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার সলঙ্গা হাটে একটি ছোট বড় ধুন্ধি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা জোড়া বিক্রি হয়। খালই ১০০ থেকে ২০০ টাকা জোড়া বিক্রি হয়। পাশাপাশি কারেন্ট জাল কিনে এনে হাত বা কেজি হিসেবে বিক্রি করে কিছুটা লাভ হয়। মাছ ধরার উপকরণের পাশাপাশি কারিগররা ডালা, কুলা, খাঁচা, চালুন, ওড়া (মাটি কাটার টুপরী), খালই বিক্রি করেন।

কুটির শিল্পী জবার জানান, বাড়িতে বসে তৈরি করা বিভিন্ন উপকরণ স্থানীয় সলঙ্গা হাটসহ আশপাশের বাজারে বিক্রি করেন। এভাবে তিনি এবং অন্যান্য কারিগররা তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণ ভালোভাবে করতে সক্ষম হন।

সলঙ্গার এই কুটির শিল্প স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্ষা মৌসুমে এ ধরনের পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় কারিগররা আর্থিকভাবে লাভবান হন এবং স্থানীয় অর্থনীতিও চাঙ্গা হয়। তবে, আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এই শিল্পের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। এছাড়া, এই শিল্পকে আরও উন্নত করতে এবং এর বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার, যাতে স্থানীয় কারিগররা আরও বেশি উপকৃত হন এবং তাদের পেশা টিকে থাকে।

সলঙ্গায় বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার উপকরণ বিক্রির ধুমে স্থানীয় কুটির শিল্পের কারিগররা লাভবান হচ্ছেন।

আশা করা যায়, সঠিক সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© নাগরিক এক্সপ্রেস । সর্বসত্ব সংরক্ষিত। নাগরিক এক্সপ্রেস এর প্রকাশিত প্রচলিত কোনো সংবাদ তথ্য ছবি আলোকচিত্র রেখা চিত্র ভিডিও চিত্র অডিও কনটেস্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামত এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ণ লেখক এর