আব্দুল মতিন মুন্সী , ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে সীরাতুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, বোয়ালমারী উপজেলা শাখার উদ্যোগে দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণ।
সীরাতুন্নবী (সঃ) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর জীবনীভিত্তিক অনুষ্ঠান হওয়ায় এতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং নবীজির জীবনাদর্শ নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় নিজেদের মেধা ও জ্ঞান প্রদর্শন করে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর প্রতিযোগিতার একে একে বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, ফরিদপুর জেলা সভাপতি হাফিজ ওবায়দুল্লাহ মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ মুজাহিদ এবং জেলা প্রচার সম্পাদক নাফিজ আদনান শাহাবুদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় HRD সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ আলী, সাবেক জেলা সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিনসহ শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে অতিথিরা বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মানবতার জন্য শ্রেষ্ঠ আদর্শ ও আলোকবর্তিকা। তাঁর জীবন দর্শন ছাড়া মানুষ প্রকৃত কল্যাণের পথ খুঁজে পেতে পারে না। বক্তারা তরুণ প্রজন্মকে সীরাতুন্নবী (সঃ)-এর আলোকে আদর্শবান, চারিত্রিক ও নৈতিকভাবে দৃঢ় হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সম্মাননা স্মারক ও বিভিন্ন ইসলামী বই প্রদান করা হয় বিজয়ীদের। এতে শিক্ষার্থীরা ভীষণ আনন্দিত হয় এবং তারা প্রতিশ্রুতি দেয় যে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় আরো সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, বোয়ালমারী উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আলী আজম খান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন—
“শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে কেবল একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়নি, বরং তারা মহানবী (সঃ)-এর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে। তাঁর জীবনাদর্শ তরুণদের জন্য আলোকবর্তিকা। আমাদের প্রত্যাশা, প্রতিটি তরুণ নবীজির শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে।”
সবশেষে অতিথিরা একমত হয়ে বলেন, নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন তরুণ সমাজকে নৈতিক ও চারিত্রিক উৎকর্ষের পথে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি আগামী প্রজন্মকে একটি আদর্শিক ভিত্তি উপহার দেবে, যা ইসলামী জীবনাদর্শের আলোয় সমৃদ্ধ একটি সুন্দর সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।