নাজমুল এইচ খান, শৈলকূপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
বর্ণাঢ্য আয়োজন ও ধর্মীয় উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) শৈলকূপার কুমার নদীতে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজয়া দশমীর উৎসবের আমেজ ভাগ করে নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বিজয়া দশমীর সকাল থেকেই ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে শৈলকূপার পূজামণ্ডপ ও আশপাশের পরিবেশ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি—কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এসব প্রবৃত্তিকে বিসর্জন দিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।
এর আগে বিহিত পূজা ও সিঁদুর খেলায় অংশ নেন নারী ভক্তরা। আবেগঘন মুহূর্তে দেবীর চরণে প্রণাম করে তাঁকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি চলে সারা দিন ধরে। পূজার শেষ দিনে বিবাহিত নারীরা দেবীর চরণে সিঁদুর নিবেদন করেন এবং একে অপরের কপাল ও চিবুকে সেই সিঁদুর পরিয়ে দেন। ভক্তরা দেবীর কাছে পরিবার, সমাজ ও দেশের মঙ্গল কামনা করেন।
শাস্ত্রীয় মতে, চলতি বছর (২০২৫) মা দুর্গা হাতির পিঠে চড়ে মর্ত্যে আগমন করেছেন এবং দোলায় চড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন। দেবীর আগমন হাতির পিঠে হলে তা অত্যন্ত শুভ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বসুন্ধরাকে করে তোলে শস্য-শ্যামলা ও সমৃদ্ধ।