মো: তুহিন ফয়েজ,
এমপি নির্বাচিত হলে চাঁদপুর- ২ আসন মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিন দুই উপজেলাকে জাপানের মতো করে সাজাবে এমন মন্তব্যকরে মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বিএনপি‘র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি‘র চাঁদপুর- ২ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ড.মো: তোফাজ্জল হোসেন
বুধবার ( ১৫ অক্টোবর ) রাতে তার নিজবাস ভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজনীতি করার কারন উল্লেখকরে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ছাত্রজীবনে, বিশেষ করে ১৯৮৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই আমি সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই। বিএনপির প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও অটল বিশ্বাসের মূল উৎস শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
তার দেশপ্রেম, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সাহসিকতা ও যুগান্তকারী চিন্তাধারা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক — যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সার্ক গঠন, সরকারীভাবে বিদেশে কর্মী প্রেরণ, বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের সূচনা, খাল কাটা কর্মসূচি, জাতীয় প্রেসক্লাব ও শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং “নতুন কুঁড়ি” অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের বিকাশের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন।
আমি তখন ছোট ছিলাম, যখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হন। আমার পিতা মরহুম আব্দুল আজিজ মিয়া ছিলেন তৎকালীন মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার টি. এ. ও.। তিনি তখন জানাজায় অংশ নিতে সাটুরিয়া থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। তাঁর চোখে শহীদ জিয়ার প্রতি যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আমি দেখেছি, তা আমার হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছিল।
এরপরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন সংগ্রাম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থান আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে। আমি তাঁর সরাসরি নির্দেশে কাজ করার দায়িত্ব পেয়েছিলাম — যা আমার জীবনের এক গর্বের অধ্যায়। আমি বিশ্বাস করি, তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক জীবন্ত কিংবদন্তি- যার জীবনে পরাজনের বিন্দু মাত্র লেশ নেই। যার নেতৃত্বে এই দেশ থেকে দুই স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। তিনি অন্যায়ের বীরুধে এক আপোষহীন ও অবিচল সংগ্রামের প্রতীক।
এছাড়াও, শত নির্যাতন ও নিপীড়নের পরেও সুদূর লন্ডন থেকে তারেক রহমানের অবিচল নেতৃত্ব, দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং জনগণের প্রতি অঙ্গীকার আমাকে বিএনপির প্রতি এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। বিএনপি আমার কাছে কেবল একটি রাজনৈতিক দল-ই নয় — এটি আমার বিশ্বাস, এবং আমার আদর্শ।
রাজনৈতিক জিবনে সফলতা ও ব্যর্থতার কথা উল্লেখকরে ড.মো: তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রাজনীতি এমন একটি পেশা যেখানে সফলতা বা ব্যর্থতার হিসাব হয় না। আগের প্রশ্নে যেমনটা উল্লেখ করেছি, ছাত্রদলের একজন সৈনিক হিসেবে আমি ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম, ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি এবং ছাত্রদলের সেন্ট্রাল কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেছি। ছাত্রজীবন শেষ করে আমি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি এবং এখনও যুক্ত আছি। তবে কখনোই সফলতা বা ব্যর্থতার হিসাব করিনি।
আবার রাজনীতি করতে গিয়ে আমি আমার একাডেমিক ও পেশাগত জীবনকেও অবজ্ঞা করিনি। বাংলাদেশে আমি অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি এবং ২০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। এরপরে জাপান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এম এস ডিগ্রী অর্জন করেছি। এবং ১৮৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জাপানের প্রসিদ্ধ ওয়াসেদা ইউইনিভার্সিটি থেকে Artificial Intelligence (AI) এর উপর ডক্টরেট (Ph.D.) ডিগ্রী অর্জন করেছি। আমি জাপানের Hitachi Ltd. -এ টেকনিক্যাল ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছি এবং সর্বশেষ Microsoft Japan-এর Data & AI ডিভিশনের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছি।
একই সময়ে, তারেক রহমানের নির্দেশে জাপানে থেকেও আমি বিএনপির পক্ষে—বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে—আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, যার বিস্তারিত বর্ণনা এই ক্ষুদ্র পরিসরে দেয়া সম্ভব নয়। আমার এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জনাব তারেক রহমান আমাকে তার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টারদায়িত্ব দিয়েছেন। আমি এটিকে আমার একটি সফলতা এবং কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দেখি, এবং এই স্বীকৃতিতে আমি গর্বিত।
পাশাপাশি, গত ২৪ বছর জাপানে থেকে আমি জাপানের মানুষের সততা, ন্যায়পরায়নতা, কাজের মান বা কোয়ালিটি ও কমিটমেন্ট দেখেছি এবং তা থেকে শিক্ষার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি, রাজনীতিতে যদি কিছু দিতে চাই, দেশ ও দেশের জনগণকে যদি কিছু দিতে চাই, তবে সবার আগে নিজেকে দেয়ার মতো করে তৈরি করতে হবে। রাজনীতিতে হয়তো আমি বড় নেতা হতে পারিনি, তবে নিজেকে ডেভেলপ করার চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি, সেই চেষ্টায় আমি অনেকটাই সার্থক হতে পেরেছি। আমার এই ডেভেলপমেন্ট ও অভিজ্ঞতা আমি দেশের জনগণের জন্য, বিশেষ করে মতলবের জনগণের জন্য প্রয়োগ করতে চাই। আমি মনে করি এটি হবে আমার জন্য এক বিরাট সফলতা।
আবার মনে করুন, আমি চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) থেকে বিএনপির পক্ষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। দল আমাকে মনোনয়ন দিতে পারে, আবার নাও দিতে পারে। আমি এটিকে কখনোই ব্যর্থতা বলে মনে করব না। মনোনয়ন না পেলেও বিএনপির প্রতি আমার ভালোবাসা একটুও কমবে না। আমি বিএনপির রাজনীতি করি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং এই প্রজন্মের অহংকার জনাব তারেক রহমানের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধার কারণে। এই ভালোবাসায় আমি সফলতা বা ব্যর্থতা খুঁজতে চাই না। যা পেয়েছি, সেটি যেমন আমার সফলতা; আর যা পাইনি বা পাবনা, সেটিও আমার সফলতার অংশ বলে মনে করি।
এই প্রসঙ্গে, আমার পি এইচ ডি-র এডভাইজার Dr. Kotaro Hirasawa-র একটি এডভাইজের কথা আমার মনে পরে যায়। আমার রিসার্স প্রগ্রেস নিয়ে উনি একবার আমাকে বলেছিলেন:
“Mr. Hossain, you got a result is not a research. Research is, why you got this result, why you didn’t get a different result”.
এ