মো:তুহিন ফয়েজ,চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বিভিন্ন এনজিওর গ্রাহকদের ১৬ লাখ ৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২ নারী প্রতারক মা ও মেয়ের বিরুদ্ধে ৷
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার এখলাছপুর গ্রামে ৷
৫ ব্যাক্তির ব্র্যাক,উদ্দীপন, প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন,দীশা, সোসাইটি ফর সোসালসহ বিভিন্ন এনজিওর সঞ্চয় ও ঋণের ২৩টি পাশবই দিয়ে এই ৫ ব্যক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশলে ১৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা উত্তোলন করিয়ে মা- মেয়ে হাতিয়ে নেয় এই টাকা ৷
জানা যায়,উপজেলার এখলাছপুর গ্রামের বাহারাইন প্রবাসী রেফায়েতের স্ত্রী জরনা বেগম ও তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে একই গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের সঞ্চয় ও ঋণের ৪টি পাসবই দিয়ে জরনা বেগমের ছেলের চিকিৎসার কথা বলে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, মাসুদ রানার স্ত্রী রিনা বেগমের সঞ্চয় ও ঋণের ৫টি পাসবই দিয়ে তার ছেলে রিয়াদ হোসেনকে বিদেশ নিবে বলে ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং নগদ দার নেন ৮০ হাজার টাকা,রাজ্জাক মোল্লার স্ত্রী লুৎফা বেগমের সঞ্চয় ও ঋণের ৪টি পাসবই দিয়ে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, মো: আলী হোসেনের স্ত্রী মোসাম্মদ নিপা আক্তারের সঞ্চয় ও ঋণের ১০টি পাসবই দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা এবং নগদ ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ১৬ লক্ষ ৫হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় বলে ভূক্তভোগীরা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান ৷
টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জানার জন্য বাহারাইন প্রাবাসী রেফায়েতের বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রী জরনা বেগম ও তার মেয়ে সোনিয়াকে পাওয়া যায়নি এবং তাদের ঘরের দরজায় তালা জুলতে দেখা যায় ৷
আসপাশের লোকজনের কাছে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন জরনা বেগম ও তার মেয়ে সোনিয়া কাউকে কিছু না বলে ৬/৭দিন আগে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে রাতের আদারে বাড়ী থেকে চলে যায় ৷
এখলাছপুর ইউপি‘র পেনেল চেয়ারম্যান মো: নেছার আহাম্মদ বলেন, যাদের টাকা নিয়ে গেছে তারা আমার কাছে আসছিল তারা খুবই গরিব মানুষ ৷ এদিকে জর্না বেগম ও তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে তাদেরকে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা ৷
জরনা বেগমের স্বামী প্রবাসী রেফায়েত এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে এব্যাপারে তিনি খোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন,আমি শুনেছি আমার স্ত্রী ও আমার মেয়ে সোনিয়া বিভিন্ন লোকের বই দিয়ে টাকা উঠাইছে তারা ৬/ ৭দিন ধরে বাড়ী থেকে চলেগেছে কোথায় গেছে আমি কিছুই জানিনা তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে ৷
এদিকে জরনা বেগম ও তার মেয়ে সোনিয়া আক্তারের মোবাইল ফোনে একাদিকবার কল করে যোগাযোগের চেষ্টাকরে তাদের পাওয়া যায়নি ৷
Leave a Reply