1. admin@nagorikexpress.com : admin :
১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| হেমন্তকাল| শুক্রবার| সকাল ১১:৫১|
নোটিশ :
পরিচালনা পরিষদ: সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে নিরপেক্ষ সংবাদ এর সন্ধানে আজই আপনার বায়োডাটা আমাদের ইমেইল এড্রেস এ পাঠিয়ে দিন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। বর্তমানে আমাদের প্রতিটি প্রতিনিধির ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার:পান্না আক্তার মহিলা রিপোর্টার গাজীপুর সদর. মোঃ নুরুজ্জামান ঠাকুরগাঁও জেলা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রতিনিধি 01303691274 মোঃ ফজলুর রহমান ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি 01718779024 আব্দুল মতিন মুন্সী বোয়ালমারী উপজেলা, ফরিদপুর জেলা মোবাইল নম্বর ০১৬৪৪৫১১৪৮১ মো: আবদুল্লাহ নুর পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি মোবাইল :01903942440 মো: আব্দুর রউফ, পাবনা সাঁথিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোবাইল :০১৭২৩৫৫২৬৩১ মোঃ মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, মোবাইল -01902300500 নামঃ মোঃআরাফাত গাজীপুর সদর উপজেলা মোবাইলঃ০১৯৮৬০৪৯৮০০ মোঃ সরোয়ার হোসেন ভাঙ্গা উপজেলা , ফরিদপুর। মোবা: ০১৭৩১৭১১৯৪৭ নাম: মোঃ জুবায়ের রহমান অনিক প্রতিনিধির এলাকা: বংশাল থানা, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭৭৮২-৫৩১৪৪ . সকলের আইডি কার্ডের মেয়াদ শেষ। দ্রুত আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন জনপ্রিয় পত্রিকা নাগরিক এক্সপ্রেস এর পক্ষ থেকে সবাইকে পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । বর্তমানে সারা বাংলাদেশে আইডি কার্ড ধারি আমাদের কোন সংবাদ কর্মী নেই যারা আছেন তাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাই উক্ত সাংবাদিকগণ আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলে বিবেচিত হবে না। যদি কারো আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয় তাহলে খুব শীঘ্রই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আপনি কি সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান? আপনি কি সমাজের সমস্ত অন্যায় অপরাধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখতে চান? তাহলে আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন. নিরপেক্ষ সংবাদ এর সন্ধানে। আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া যেকোনো অনিয়ম দুর্নীতি আমাদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন অথবা নিচে দেওয়া আমাদের নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে আজ ই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন.

হাজীগঞ্জে কার ভুলে এতিম হলো নবজাতকসহ চার অবুঝ শিশু?

Reporter Name
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৬০ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক : হাজীগঞ্জের বাকিলা মডেল ইউনিয়ন ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় পৌরসভাধীন বলাখাল গ্রামের সন্তান সম্ভবা ৩০ বছর বয়সি হোসনেয়ারাকে। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) তার প্রসব ব্যথা উঠলে নিয়ে যাওয়া হয় বাকিলা মডেল ইউনিয়ন ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। ওই দিন বেলা তিনটার দিকে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা শাহনাজ বেগমের মাধ্যমে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন।

এর কিছু সময় পর তিনি লেবার রুম থেকে বের হয়ে বলেন, শিশুটিকে (নবজাতক) একজন শিশু বিশেষজ্ঞ এবং মা হোসনেআরাকে ডাক্তার দেখাতে হবে। আপনারা দ্রুত তাদেরকে চাঁদপুরে নিয়ে যান। তাঁর কথা মতো চাঁদপুরে নেওয়া হলো, কিন্তু হোসনেআরা বেগমের শারিরিক অবস্থার অবনতি।

চিকিৎসক জানালেন, যত দ্রুত সম্ভব তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। দেরী না করে কুমিল্লায় নেওয়ার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, তিনি আর নেই। অর্থ্যাৎ হোসনেআরা বেগম মারা গেছেন।

মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ভাই আব্দুর রহমান গাজী ও স্বামী আবুল হাসেমের মাথায়। কি হবে, হোসনেআরা বেগমের নবজাতক ছেলে ও তিন কন্যা সন্তানসহ অবুঝ চার সন্তানের ? কার ভুলে মারা গেলেন তিনি ? ভুল চিকিৎসকা, নাকি অবহেলা ? নাকি ভাগ্যের নির্মম পরিহাস?

এই প্রশ্ন এখন নিহতের পরিবারের সদস্যসহ নিকট আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে। স্থানীয়রা বিষয়টি সংবাদকর্মীদের জানালে কথা হয় আবদুর রহমান গাজীর সাথে। তিনি বলেন, আমার বোনের কোন সমস্যা ছিলো না। সে সম্পুর্ণ সুস্থ ছিলো। চাঁদপুরে ডাক্তার বলেছেন, বাচ্চা যেখানে হয়েছে, সেখানো কোন সমস্যা হয়েছে।

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনের ৩ মেয়ের পর ছেলে হয়েছে। শাহনাজ বেগমের অবহেলায় আর ভুল চিকিৎসার কারণে আমার বোন মারা গেছে। এখন বোনর চারটি অবুঝ বাচ্চার কি হবে? আমরা তার বিচার চাই।

হোসনেআরা’র স্বামী আবুল হাসেম জানান, বারে বারে বলার পরেও তিনি (পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা শাহনাজ বেগম) বলেছেন, আমার স্ত্রী ভালো আছে। কোন সমস্যা নেই। তাহলে কেন আমার স্ত্রী মারা গেলো। এখন আমি এই চার অবুঝ শিশু নিয়ে কোথায় যাবো?, কি করবো? আমি এই ডাক্তারের (শাহনাজ বেগম) বিচার চাই।

হোসনেআরা’র মা পারুল বেগম বলেন, আমার ৫ ছেলে, ১ মেয়ে। অনেক আদর করে মেয়েকে লালন-পালন করেছি। ডাক্তার (শাহানাজ বেগম) আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। ডাক্তারকে বলেছি, আমার মেয়েকে হাজীগঞ্জ নিয়ে যাই। তিনি বলেছেন, কোন সমস্যা নাই। তাহলে, আমার মেয়ে মরলো কেন? এখন আমার চার নাতি-নাতিনের কি হবে?

হোসনেআরা’র শাশুড়ী বলেন, আমার ছেলের বৌ’র (পুত্রবধূ) সব ঠিক ছিলো। ডাক্তার অনেকগুলো ইনজেকশান দিয়েছে। সে হোসনেআরারে মাইরা লাইছে।

কথা হয় বাকিলা ইউনিয়ন ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা শাহনাজ বেগমের সাথে। তিনি বলেন, সব কিছুই ঠিক ছিলো। বাচ্চা প্রসব হওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে, তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করি। এরপর কি হয়েছে, আমি জানি না।

রোগীর পরিবার বার বার আপনাকে ফোন দিয়েছে, কিন্তু আপনি কেন ফোন রিসিভ করেন নি ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ঘুমে ছিলাম। (রোগীর পরিবারের দাবি অর্ধশতবার ফোন দেওয়া হয়েছে)

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান জানান, শাহনাজ বেগম বিষয়টি গতকাল (রবিবার) আমাকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, আমদের প্রসব পরবর্তী যে চিকিৎসা দেয়ার নিয়ম। তা, তিনি করেছেন। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বিষয়টি টেকেল (সামলাতে) দিতে পারেনি। এমন কেইস খুব কমই হয়। বিষয়টি আমি আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে (ডিডি) জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© নাগরিক এক্সপ্রেস । সর্বসত্ব সংরক্ষিত। নাগরিক এক্সপ্রেস এর প্রকাশিত প্রচলিত কোনো সংবাদ তথ্য ছবি আলোকচিত্র রেখা চিত্র ভিডিও চিত্র অডিও কনটেস্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামত এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ণ লেখক এর