1. admin@nagorikexpress.com : admin :
২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শুক্রবার| রাত ৯:৫১|
নোটিশ :
পরিচালনা পরিষদ: সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে নিরপেক্ষ সংবাদ এর সন্ধানে আজই আপনার বায়োডাটা আমাদের ইমেইল এড্রেস এ পাঠিয়ে দিন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন নাগরিক এক্সপ্রেস এর আইডি কার্ড এর মেয়াদ সম্পূর্ণ কোন সাংবাদিক নেই . সকলের আইডি কার্ডের মেয়াদ শেষ। দ্রুত আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন জনপ্রিয় পত্রিকা নাগরিক এক্সপ্রেস এর পক্ষ থেকে সবাইকে পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । বর্তমানে সারা বাংলাদেশে আইডি কার্ড ধারি আমাদের কোন সংবাদ কর্মী নেই যারা আছেন তাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাই উক্ত সাংবাদিকগণ আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলে বিবেচিত হবে না। যদি কারো আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয় তাহলে খুব শীঘ্রই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আপনি কি সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান? আপনি কি সমাজের সমস্ত অন্যায় অপরাধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখতে চান? তাহলে আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন. নিরপেক্ষ সংবাদ এর সন্ধানে। আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া যেকোনো অনিয়ম দুর্নীতি আমাদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন অথবা নিচে দেওয়া আমাদের নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন সারাদেশে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে আজ ই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন.

ঠাকুরগাঁওয়ের পাতে ঐতিহ্যের স্বাদ: হরেক রকমের মজার খাবারে জমজমাট উত্তরের জেলা

Reporter Name
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫
  • ৭৯ বার পঠিত

আব্দুন নুর আজাদ, ঠাকুরগাঁও

উত্তরবঙ্গের ছোট্ট অথচ ঐতিহ্যবাহী জেলা ঠাকুরগাঁও, শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্যেই নয়, খাবারের বৈচিত্র্যেও সমৃদ্ধ। এখানকার প্রতিটি গ্রাম ও বাজার যেন নিজস্ব এক একটি স্বাদের গল্প বলে। ঠাকুরগাঁওয়ের কিছু অমলিন ও মুখরোচক খাবার, যা এখানকার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।

শীতল হাওয়ায় ভরা ঠাকুরগাঁও জেলার প্রতিটি জনপদ যেন এক একটি খাদ্যজগত। এখানকার খাবার শুধু পেট ভরায় না, জড়িয়ে থাকে স্মৃতি, সংস্কৃতি আর প্রজন্মের প্রজন্ম ধরে বয়ে চলা ঐতিহ্য।

রানীশংকৈলের বিখ্যাত ঘি-মোয়া এখন ঠাকুরগাঁওয়ের পরিচয়পত্র হয়ে উঠেছে। মুড়ি, ঘি ও চিনি দিয়ে তৈরি এই মিষ্টান্ন মুখে দিলেই গলে যায়। জেলার মিষ্টির দোকানগুলোতে সারাবছরই এর চাহিদা থাকে তুঙ্গে।

কলা পিঠা ও খেজুর রসের পায়েস: শীতের সন্ধ্যায় স্বাদের উৎসব

গ্রামবাংলার প্রতিটি শীতের সন্ধ্যায় পিঠা-পায়েস যেন একটা আবেগ। ঠাকুরগাঁওয়ের কলা পিঠা ও খেজুর রসের পায়েস শহর ও গ্রামের সীমানা পেরিয়ে এখন বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টের মেনুতে জায়গা করে নিচ্ছে।

চকবাজার, হরিপুর মোড় বা শিবগঞ্জের অলিগলি—যেখানে ভিড়, সেখানেই ‘চিংড়ি বড়া’র গন্ধে মুখরিত পথ। বিশেষ মসলা মিশিয়ে ভাজা এই বড়াগুলোর সাথে টক-ঝাল চাটনি যেন স্বাদের পূর্ণতা আনে।

সাঁওতাল ও ওরাঁও আদিবাসীদের নিজস্ব রান্নার ধরন আজও অনেক গ্রামে টিকে আছে। কচু পাতায় মোড়া মাছ, বাঁশের চালনিতে রান্না ভাত কিংবা শুকনো বাঁশের ভেতরে ভুনা মাংস—এসব শুধু খাবার নয়, একেকটা সাংস্কৃতিক নিদর্শন।

এক সময় উৎসব মানেই ছিল কাঠালের বড়া ও চালকুমড়োর হালুয়া। বর্তমানে কিছু বয়োজ্যেষ্ঠ নারী এখনও পরিবারিক উৎসবে এই খাবার তৈরি করে থাকেন। এসব খাবার আবার ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে তরুণদের মুখেও।

খাবার মানে শুধু উপকরণ নয়, তার পেছনে থাকে গল্প, ভালোবাসা, ওতপ্রোতভাবে জড়িত ইতিহাস। ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি বিখ্যাত খাবারের পেছনেও রয়েছে তেমনি আবেগমাখা গল্প।

স্থানীয় প্রশাসন, পর্যটন কর্তৃপক্ষ ও উদ্যোক্তারা চান এই স্বাদের ঐতিহ্য সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ুক। প্রয়োজন যথাযথ ব্র্যান্ডিং ও সংরক্ষণের উদ্যোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© নাগরিক এক্সপ্রেস । সর্বসত্ব সংরক্ষিত। নাগরিক এক্সপ্রেস এর প্রকাশিত প্রচলিত কোনো সংবাদ তথ্য ছবি আলোকচিত্র রেখা চিত্র ভিডিও চিত্র অডিও কনটেস্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামত এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ণ লেখক এর