———————————————————
মতলব উত্তরে তিন হাজার একর কৃষিজমি রক্ষায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সভা
মো: তুহিন ফয়েজ,চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ও এখলাছপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সাতটি মৌজার প্রায় ৩০৩৭.৮৭ একর কৃষিজমিকে বেআইনিভাবে ১নং খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে তা “অর্থনৈতিক অঞ্চল-১” নামে দীর্ঘমেয়াদি লিজ দেওয়ার সরকারি উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
বাহেরচর, চরওয়েবষ্টার, নাছিরাকান্দি, দিয়ারা বোরচর, নাপিত মারা, উত্তর বাহেরচর এবং এখলাছপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বোরচর—এই সাতটি মৌজার জমি বহু বছর ধরে স্থানীয় কৃষকেরা আবাদ করে আসছেন। এসব জমিতে বছরে চারটি ফসল উৎপাদন হয়। রয়েছে কবরস্থান, মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল, বাজার ও হাজার হাজার মানুষের বসতি। প্রায় ২০-২২ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা সরাসরি এই জমির ওপর নির্ভরশীল।
অথচ এসব জমি নিয়ে উচ্চ আদালতের দেওয়া স্থিতাবস্থা (Status-quo) আদেশ বলবৎ থাকা সত্ত্বেও জেলা প্রশাসন সেই আদেশ উপেক্ষা করে জমিগুলো খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে ইকোনমিক জোনকে প্রদানের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেছেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মোফাজ্জল হোসেন মায়ার প্রত্যক্ষ মদদে ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভূয়া জরিপের মাধ্যমে ৯৯৪ নম্বর একটি তঞ্চকতাপূর্ণ রেজিস্টার্ড দলিল তৈরি করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জমিগুলো জোরপূর্বক খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের চরকাশিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বোরচর এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রতিবাদ সভা।
এখলাছপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মো: মিন্নত আলী বেপারীর সভাপতিত্বে ও মো: সোহাগ দেওয়ানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন,সমাজসেবক বজলু দেওয়ান,এখলাছপুর ইউনিয়ন বিএনপি‘র সভাপতি ,জুয়েল পাটোয়ারী ,ইউপি সদস্য জসিম বেপারী,হাকিম বেপারী,মজিদ হাওলাদার,আলি আজম মাস্টার, শিপন খাঁ,দুলাল মুন্সি,আব্দুল মাজেদ ঢালী,কাইয়ুম গাজী, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, শাহাজামাল,সাবেক ইউপি সদস্য জাফর,জাকির সরদার,ইকবাল হোসেন,সালা উদ্দিন চোকদার,মেতালেব সরকার, মনি বকাউল,আলমগীর বেপারী,আবু কালাম বকাউল,ইলিয়াছ সরদারসহ কৃষক প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আরো বলেন, সরকার প্রভাব খাটিয়ে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে আমাদের কৃষি জমি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা শুধুমাত্র জমির লুট নয়, এটা গণমানুষের জীবিকা, বসতি, ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র। আমরা এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে রাজপথে নেমেছি এবং রাজপথে থাকবো ৷
তারা বলেন, প্রশাসন কথা দিয়ে কথা রাখেনি ৷ ডিসি মহোদয় বলে ছিলেন, ক্ষতিপূরন দিয়েই ইকোনমিক জোনের কাজ শুরু করা হবে তিন্তু জনগণের ক্ষতিপূরন না দিয়েই তিনি ইকোনমিক জোনের কাজ শুরু করে দিয়েছে এবং গাছের ছারা রোপন করেছেন সুতরাং তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন নাই ৷
আমরা সি এস, এস এ, ও আর এস এ এই জমির মালিক আমরা জীবন দিয়ে হলেও আমাদের জমি রক্ষা করবো ৷