মোঃ শরিফুল ইসলাম। রিপোর্টার
ঢাকা-সিরাজঞ্জ মহাসড়কের সায়েদাবাদের আলোচিত ডাকাতি মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে নগদ টাকা, লুন্ঠিত মোবাইল ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ০১ টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল (৮ অক্টোবর) সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।
সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টায় সিরাজগঞ্জ ‘যমুনা সেতু পশ্চিম’ থানাধীন সায়েদাবাদ এলাকাসংলগ্ন ঝাঐল ওভারব্রীজের পশ্চিমে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর ১০-১২ জনের অজ্ঞাতনামা একটি ডাকাত দল একটি প্রাইভেটকারকে থামিয়ে ডাকাতি সংঘটিত করে। এসময় তারা প্রাইভেটকারে থাকা লোকজনদের নিকট থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্নালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ আনুমানিক প্রায় ২ লক্ষ টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় । পরবর্তীতে এ ঘটানাটি একটি দৈনিক ‘যায়যায় দিন’ পত্রিকার ফেসবুক পেইজে মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায় সেখানে ২০-৩০ বছর বয়সী একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল একটি প্রাইভেটকারের গ্লাস ভাঙচুর করে লুটপাট চালাচ্ছে। এই ঘটনায় ‘যমুনা সেতু পশ্চিম’ থানায় গত ৫ অক্টোবর অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির মামলায় সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার এতে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্তে তাৎক্ষণিক একটি চৌকস টিম গঠন করেন। সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ,ডিবি, কামারখন্দ থানার ও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত ঐ চৌকস টিমের দূরদর্শী কার্যক্রম এবং সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিবিড় তত্বাবধানের কারণে ডাকাতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়। আসামীদের গ্রেফতারে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিদ্রাহীন, বিরামহীন ও নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাত ৭ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয় । এর মধ্যে গত ৬ অক্টোবর শাহ আলী(২৯) ও মোঃ বাবু (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন (৭ অক্টোবর) মোহাম্মদ আলী (২৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়, সর্বশেষ গতকাল (৮ অক্টোবর) আজাদুল মেম্বার (৩৭), মোঃ রাশিদুল (৩০), মোঃ আশরাফুল (২৩) ও মোঃ আইয়ুব (২৩) নামে আরো ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয় ।
গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে নগদ ২২হাজার ৫শত টাকা, তিনটি মোবাইল ও একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩ জন বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় ।