নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৩৭ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদের দুটি কনটেইনার জব্দের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। রবিবার (২৪ জুলাই) রাতে র্যাব-১১ এর উপপরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার তিন জনের মধ্যে রয়েছেন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার ষোলঘরের ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল আহাদ (২২) ও তার দুই সহযোগী ওই জেলার লৌহজংয়ের নাগেরহাটের মৃত শেখ জয়নুল আবেদীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪) ও শ্রীনগরের ষোল ঘর ভুইচিত্র এলাকায় মো. আক্কাস মোল্লার ছেলে মো. নাজমুল মোল্লা(২৩)।
এই তিন জনসহ আরও আট জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বাকি আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মো. আজিজুল ইসলাম (৫৭), মিজানুর রহমান আশিক (২৪), জাফর আহমেদ (৩৫), শামীম (৩২), রায়হান (৩৫), দুবাই প্রবাসী (অজ্ঞাত), দিপু (২৮) এবং বাদশা (৩২)
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধারের ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে দুটি কনটেইনার চট্টগ্রাম থেকে বিদেশি মদের চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার তথ্য আসে র্যাব-১১ এর কাছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালায় র্যাব। ভোরে দুটি কনটেইনার ভর্তি মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম ও মো. নাজমুল মোল্লাকে আটক করে র্যাব। পরে কাস্টম কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কনটেইনার দুটি খোলা হয়। তাতে ৩৭ হাজার বোতল বিদেশি মদ জব্ধ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৩৭ কোটি টাকা।
এ ঘটনায় রবিবার (২৪ জুলাই) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ থেকে অবৈধ পণ্য নিয়ে দুটি কনটেইনারবাহী ট্রাক ঢাকার দিকে আসছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার (২২ জুলাই) মধ্যরাতেই নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার টিপরদি এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুটি কনটেইনারবাহী ট্রাক তল্লাশির জন্য থামায় র্যাব। এ সময় দুটি ট্রাকে থাকা নাজমুল মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কনটেইনারের ভেতরে টাইলস আছে বলে জানান তারা। পরে তাদেরকে কনটেইনারে থাকা পণ্যের চালান দেখাতে বলা হয়। চালানের কাগজপত্রে সুতা ও মেশিনারিজ উল্লেখ থাকায় র্যাব সদস্যদের আরও সন্দেহ হয়।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল ও সাইফুল কনটেইনার দুটিতে অবৈধভাবে আনা সিগারেটের কথা জানান। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা ভেতরে অবৈধ বিদেশি মদ থাকার কথাও স্বীকার করেন। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জের কাস্টমসের একজন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে সিলগালা করা কনটেইনারের দরজা খোলা হয়। এ সময় একটি কনটেইনার থেকে ২১ হাজার বোতল বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ ও আরেক কনটেইনার থেকে ১৬ হাজার বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, দুই কনটেইনার থেকে উদ্ধার হওয়া অবৈধ বিদেশি মদের বোতলগুলো
Leave a Reply