অনলাইন সংবাদ:

গ্রেপ্তারের পর পর আদালতে জে কে মজলিশের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে জে কে মজলিশের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। পরে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জেলগেটে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ এ আদেশ দেন।
২৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে জে কে মজলিশকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিসিটি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ এবং ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি গোয়েন্দা দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

জেকে মজলিশকে হাতকড়া পরিয়ে, দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ছবিটি পোস্ট করে শিল্পীর সঙ্গে এমন আচরণ মানতে পারছেন না শোবিজের মানুষেরা। ছবিটি গ্রেপ্তারের সময়ের নাকি আদালতে তোলার, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মাইম অভিনেতা ও সাংবাদিক নিথর মাহবুব ফেসবুকে এই ছবি পোস্ট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, জে কে মজলিশ দেশের সঙ্গীত অঙ্গনের একটি পরিচিত নাম। মামলা হয়েছে বলেই তাকে এই ভাবে হাতকড়া পরিয়ে তাতে রশি লাগিয়ে টেনে নেওয়া খুব অন্যায়। দোষী সাব্যস্ত হবার আগেই জে কে মজলিসের সাথে পুলিশের এমন আচরণে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
চিত্রনাট্য নির্মাতা ও সাংবাদিক লিমন আহমেদ লিখেছেন, আরটিভির মামলায় সংগীত পরিচালক জে কে মজলিশ কারাগারে। অতঃপর নিশ্চুপ একটি শিল্পী সমাজ। সময় বোঝে চুপ থাকাও এখন একটা শিল্প!

গীতিকার জাহিদ আকবর লিখেছেন, এই সুরকার সংগীত পরিচালকে ব্যক্তিগত ভাবে আমি চিনিনা। কিন্তু তাকে চোর ডাকাতের মতো হাতে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই অপমান চোখে বড় লাগছে। তিনি অপরাধ করলে সংগীতের এতো এতো সংগঠনের কাজ কী? একটা মীমাংসা করা যেতোনা। আরটিভি কীভাবে এমন কাজ করতে পারে। খুঁজে দেখলাম এক সময় তাদের হয়ে গান করেছেন এই ব্যক্তি। আসল ঘটনা বের হয়ে আসুক। কোনো শিল্পী, সুরকার যন্ত্রশিল্পীকে দেখলাম না বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে। এই আমাদের সংগীত।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জে কে মজলিশ অর্থের বিনিময়ে পুরোনো জনপ্রিয় লোকসংগীতগুলোর মিউজিক রি-অ্যারেঞ্জ করলেও তিন বছর পর আরটিভি ‘ফোক স্টেশন’-এর প্রায় আড়াইশ’ গানের স্বত্ব তার নিজের বলে দাবি করে অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ ও প্রচার করছেন। সরাসরি বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে সহযোগিতা করেছে ‘গানবক্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান; যারা বিভিন্ন ধরনের গান শিল্পী ও কম্পোজারদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে বিদেশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচার করে থাকে।