বিশেষ প্রতিনিধি:চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইউছুফ গাজী বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। কেননা আদালতের আপীল মামলার রায়ে আমার পাঁচ বছরের সাজাটি সেট এসাইড করা হয়। আমি এখন সেই মামলা থেকে পুরপরি খালাশপ্রাপ্ত। আমি মনে করি আমার ব্যক্তিগত মামলাটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে আমার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করার জন্য।
১৫ অক্টোবর শনিবার শহরে তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ইউছুফ গাজী আরও বলেন, দুঃখের বিষয় এই যে মহামান্য উচ্চ আদালতের অবকাশ, পূজা, সাপ্তাহিক ও সরকারী বিভিন্ন ছুটি থাকার কারনে যে আইনি প্রক্রিয়া ১০/১২ দিনে সম্পন্ন হওয়া সম্ভব হতো। সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে ২৩ দিন সময় লেগে গেলো। কিন্তু আমার মনোনয়নপত্র বৈধতার রিট পিটিশনটি এই সময়ের বেড়াজালে বাধাগ্রস্থ হয় এবং রিটে আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তা ছিল। যা সময় সাপেক্ষ হওয়ায় মহামান্য উচ্চ আদালত আমার ব্যাপারটি সময় নিয়ে শুনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের দিনক্ষণ ১৭ অক্টোবর অতি নিকটে চলে আসায় আমার রিট পিটিশনটি শুনানি করাই সম্ভব হয়নি। আপাতদৃষ্টিতে আমাকে নির্বাচন থেকে বঞ্চিত রাখার সেই নীলনক্সায় তারা সফল হয়েছে। কিন্তু মাত্র ২৩ দিনে আমি আমার সেই ব্যক্তিগত মামলাটির সমাপ্তির মাধ্যমে প্রমান করলাম যে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
তিনি আরও বলেন, আমি বলতে চাই যে, প্রায় ৫৩ বছরের ঊর্ধ্বকাল যাবত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতি, আদর্শ, চেতনা, মূল্যবোধ ধারন করে সুস্থ ধারার আওয়ামী রাজনীতির সাথে আমার সম্পৃক্ততা। ক্ষমতা আমার কাছে মুখ্য নয়। মানুষের ভালোবাসাই আমার রাজনীতির শক্তি। পদ-পদবী ক্ষমতার জন্য আমি কখনো রাজনীতি করিনি। আমি যাতে আমৃত্যু আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি সেজন্য আপনারা আমাকে দোয়া ও সমর্থন দিবেন সেই প্রত্যাশাই করি। দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সারাজীবন নিবেদিত প্রান হয়ে দলের এবং চাঁদপুরবাসীর জন্য আমৃত্যু কাজ করে যাব, ইনশাল্লাহ।
এসময় এই সংবাদ সম্মেলনে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, ইউছুফ গাজীর মেয়ে সাংবাদিক মুন্নি ইউছুফসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।