ভাঙ্গায় এস. এস. সি ১৯৯১
ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী
বন্ধু মানেই ভালোবাসা,বন্ধু মানেই মনের প্রশান্তি,মিলি প্রাণের টানে ফিরে যাই শৈশবে -” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার এসএসসি -১৯৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ঈদপূনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মৃতিচারন,কৌতুক, গান পরিবেশন,র ড্র, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, বাঁধভাঙ্গা আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী বন্ধুদের ঈদ পর্ণর্মিলনী অনুষ্ঠানটি আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী উপজেলার ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন শিক্ষার্থীদের পদচারনায় যেন মিলনমেলায় পরিনত হয়। খুঁনসুটি, অবাধ অট্টহাসি,বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার পর শুরু হয় মূলপর্ব। এরপর এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১ এর কতিপয় প্রয়াত বন্ধু ও প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া করা হয়। এর আগে অনুষ্ঠানকে ঘিরে আয়োজক কমিটির কয়েকজন রাত- দিন পরিশ্রম করেন। এর মধ্যে,, মাহিরুজ্জামান তুহিন,শওকত মোল্লা, প্রভাষক হেদায়েত হোসেন,রাজু রায়, গৌরাঙ্গ সহ বেশ কয়েকজন মঞ্চ নির্মান,আপ্যায়ন,পুরস্কার প্রদান,আর্থিক যোগান দেয়া সহ অনুষ্ঠানের যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করেন। প্রভাষক হেদায়েত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্কুল জীবনের নানা বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন শরীফুজ্জামান শরীফ,মাহিরুজ্জামান তুহিন,রাকিবুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, আক্তারুজ্জামান খবির,মাসরুল হাসান,টুটুল,লিটন,ইউনুছ আলী তপু,মহিউদ্দিন রনি, সহ বেশ কয়েকজন পরনো শিক্ষার্থী।পরে মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা, র্্যাফেল ড্র।শেষে ৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থী আফছার বয়াতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বরচিত গান পরিবেশন করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার হোসেন নানা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। বন্ধুমহল অনেক বছর পর মিলিত হতে পেরে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে। ফটোসেশন,বিকেলের খাবার,পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া ও নিজেদের সুখ-দুঃখের গল্প বলার ভঙ্গি ছিল অসাধারণ এক দৃশ্যপট।
এই বর্ণাঢ্য আয়োজনে যোগদানকৃত সকল বন্ধু এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য যারা এ আয়োজনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সকল কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বছর যেন অনুষ্ঠানমালা আরও সুন্দরভাবে এই ধারা অব্যাহত রাখা যায় সেই মানসিকতা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের এ বন্ধুত্বের বন্ধনের এ পথচলা অব্যাহত থাকবে। বাস্তবতার সময়ের প্রয়োজনে আমরা প্রত্যেকে বিভিন্ন দিকে ব্যস্ত থাকি। সবার সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ খুব একটা আসে না। তাই সবার সান্নিধ্য পেয়ে ভালো লাগছে। আজকে অনেক আনন্দ করেছি। খুবই ভালো লেগেছে বন্ধুরা মিলে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করেছি। আশা করি আগামীতেও আমরা এই পুনর্মিলনীর ধারা অব্যহত রাখে। সব বন্ধরা যদি আন্তরিক থাকে তাহলে প্রতি বছর এ রকম অনুষ্ঠান করতে পারবো বলে মনে করি। স্কুল থেকে পাস করে বের হয়ে যাওয়ার পর সবার সাথে মিলিত হবার সময় ও সুযোগ খুব একটা হয়ে উঠে না। আমরা যেন নিজের অস্তিত্বকে ভুলে না যাই, নিজের শেকড়কে ভুলে না যদহলেও নিজ স্কুল জীবনকে ঘিরে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে কত স্বৃতি জড়িয়ে আছে। সবাই কে এক ফ্রেমে পেয়ে এগুলি স্বৃতিচারন করছি।
Leave a Reply