স্টাফ রিপোর্টার : সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে হত্যা মামলার আসামি হয়ে চাঁদপুর জেলা কারাগারে সাত বছর কারাভোগ করাকালীন সময়ে আমান উল্লাহ নামে এক হাজতি দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিল।
১৮ এপ্রিল চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে আমান উল্লাহকে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করে। হাসপাতালে আনার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় চিকিৎসক।
মৃত আমান উল্লাহ চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়ন শটাকি গ্রামের নজরুল আমিনের ছেলে।
২০১৮ সালে সম্পত্তিগত বিরোধে তার সৎ চাচা হারুন বাদী হয়ে আমান উল্লাহকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দীর্ঘ সাত বছর জেলে থাকার পর অবশেষে তার করুন মৃত্যু হয়। টাকার অভাবে জামিনে বের হতে পারেনি আমান উল্লাহ। তার বাবা নজরুল আমিন ভিক্ষাবৃত্তি করে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জোগাড় করে বাদি হারুনকে দেয়। তারপরেও ছেলেকে জীবিত কারাগার থেকে বের করতে পারেনি।
তবে কি কারনে কিভাবে তার এই মৃত্যু হয়েছে এখনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতাল করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এ সময় চাঁদপুর জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার জান্নাতুল ফেরদৌস জানায়, কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর ৫৫ বছর বয়সী হাজতী আসামি নং ৫১৩৩ আমান উল্লাহকে সদর হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।
এই বিষয়ে আমানুল্লাহর পিতা নজরুল আমিন জানায়, বাবা মারা যাওয়ার পূর্বে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার কারণে সৎ ভাই হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে। হারুনের মেয়ে পানিতে পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় থানায় ছেলে আমানুল্লাহ বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় আপস করার কথা বলে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিলেও ছেলেকে জীবিত কারাগার থেকে বের করা সম্ভব হয়নি।
তবে ছেলের কোন ধরনের রোগ বালাই ছিল না, সে সুস্থ থাকলেও কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ জানায়নি। মিথ্যা মামলায় সাত বছর জেলে থাকার ঘটনায় সৎ ভাই বাদি হারুনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
Leave a Reply