ভাঙ্গা ( ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পাশ্ববর্তী সদরপুরের মধ্যপাড়া শ্যামপুর গ্রামে প্রয়াত এক বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য চান মিয়া ওরফে চান্দু মিয়া ও তার পুত্র মনির হোসেন সহ সংঘবদ্ধ হয়ে নানামুখী অত্যাচার,হয়রানী ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। সর্বশেষ ওই পরিবারের এক নারী সদস্য ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় গত রোববার হামলায় আহত হয়ে এখন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারের সদস্য মাবিয়া বেগম জানান,প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু মিয়ার সাথে আমাদের পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতা চলে আসছিল। নিজেকে দারোগা বলে পরিচয় দিয়ে সে নানাভাবে আমাদের হয়রানি, হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল। গত রোববার পুুর্ব পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধভাবে তার পুত্র মনির,সোহাগ সহ আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ বাড়িতে ভাংচুরের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ইতি আক্তারের উপর হামলা চালায় এবং তাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়।তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাশ্ববর্তী সদরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ইতি আক্তারের স্বামী তোফায়েল আহমেদ বাদী হয়ে সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য তাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা নীরিহ একটি পরিবারের সদস্য। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদের পরিবারের গর্বিত সদস্য। অথচ আমরা কথিত দারোগা চান্দু মিয়া ও পুত্র সহ সকলের কাছে জিম্মি। তারা সর্বত্র আমাদেরকে নাজেহাল করে চলেছে।আমরা এর বিচার চাই। হাসপাতালে আহত ইতি আক্তার জানান,পুর্ব পরিকল্পিতভাবে কথিত দারোগা ও সাঙ্গপাঙ্গরা আমার উপর অমানুষিক হামলা চালিয়েছে।আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বলেন, হামলার কোন ঘটনাই ঘটেনি। তবে তার পুত্র মনির দেওয়ান হামলারটি স্বীকার করে বলেন,সামান্য আঘাত লাগতে পারে। এদিকে হামলার ঘটনায় সদরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
Leave a Reply