ভোলা প্রতিনিধি
ফাইল আটকে ঠিকাদারদের কাছে অর্থ চাওয়া, সিনিয়রদের আদেশ নির্দেশ পালন না করা, অফিসে অনুপস্থিত,হাতের কাজ ফেলে রেখে মুঠোফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলা এবং অফিসে আসলেও লাঞ্চের কথা বলে ঘন্টার পর ঘন্টা বাহিরে থাকা, সহ নানা অভিযোগ উঠেছে
ভোলা সদর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (উপজেলা এলজিইডি) অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক রাকেশ মজুমদারের বিরুদ্বে।
শনিবার (১৭মে) এবং আজ রবিবার টানা ২ দিন
ভোলা সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী ঠিকাদার ও মিডিয়া কর্মী মো. আহসান অভিযোগ করে বলেন জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নে এডিবি একটি রাস্তার কাজ বরাদ্দ নেন এবং কাজটি যথাযথ ভাবে সম্পাদন করে বিল উত্তোলনের জন্য গত শনিবার সকালে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিউলি আক্তারের নিকট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন,শিউলি আক্তার সহকারী হিসাব রক্ষক রাকেশ কে কাগজপত্র রেডি করে বিল তৈরি করতে বলেন,কিন্তু রাকেশ সেগুলো কে পাত্তা না দিয়ে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। পরদিনও রাকেশ কে বিল রেডি করা হয়েছে কিনা জানতে শিউলি আক্তার তার মুঠো ফোনে কল দিয়ে ঢেকে এনে জিজ্ঞেস করলে সে বিরক্তি প্রকাশ করে এবং অফিস থেকে চলে যায়।
এর পরে আর সে অফিসে ফেরে নাই। তিনি আরো বলেন আমি একজন গণ মাধ্যম কর্মী আমার সাথেই যদি তারা এমনটি করে তাহলে সাধারণ লোকদের সাথে এরা কি করে।
এদিকে ভুক্তভোগী আরো কয়েকজন ঠিকাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কাজ শেষ করে এসে বিল এর জন্য দিনের পর দিন এসে ধর্ণা দিতে হয় অগ্রিম টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না। সদর উপজেলার এই এলজিইডি অফিসে সিন্ডিকেট করে কয়েকজন দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ম অপকর্ম করছে, সাংবাদিকরা ছাড় পাচ্ছে না তাদের কাছ থেকে। এদের লাগাম এখনই টেনে না ধরলে ভবিষ্যতের আরো বেপরোয়া উঠবে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা।
এদিকে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় এলজিইডি অফিসের এসব কর্মকান্ডের নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র, এ নিয়ে ভোলার মিডিয়াপাড়ায় জোর সমালোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আবু আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান,আমি রাকেশ কে অনেক বকা দিয়েছি ভবিষ্যতে এমনটি আর হবে না।
এবিষয় ভোলা জেলা এলজিইডি কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে বলে দিয়েছি হিসাব রক্ষক রাকেশের বিরুদ্বে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যত ভবিষ্যতে এমনটি আর না হয়।
রায়হান আহমেদ, ভোলা
রবিবার (১৮মে)
ছবি সংযুক্ত
Leave a Reply