স্টাফ রিপোর্টার : শাহরাস্তিতে ইসলাম বিদ্বেষী প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে উপজেলার বললীদ হাজী আকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
১৯ মে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা বলশীদ বাজার ও বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ মিছিল করে। প্রায় এক ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল থেকে শিক্ষার্থীর প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দেবনাথের প্রত্যাহারের দাবি জানান। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ও শিক্ষকবৃন্দের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা ক্লাসে ফিরে যায়। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. রায়হান উদ্দিন জানায়, যোগদানের পর থেকে প্রধান শিক্ষক তাদের সাথে অশোভন আচরণ করে আসছে। তিন একজন ইসলাম বিদ্বেষী লোক আমরা তার প্রত্যাহারের দাবি জানাই। দশম শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী মাহবুব আলম জানায়, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নেয়ামত ভাইয়ের উপর হামলার প্রতিবাদে আমরা প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাহার দাবি করছি। সিনিয়র শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন জানান, ছাত্রীদের সাথে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কারণে প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দেবনাথ ২০১৫ সাথে ১১ মাসের জন বরখাস্ত হয়েছিলেন। এরপর ২০২২ সালে তিনি এসেম্বলিতে বিসমিল্লা বলার কারণে শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষিপ্ত হন পরবর্তীতে তিনি ৯ মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়।
সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মো. সালেহ উদ্দিন জানান, প্রধান শিক্ষক সকলের সাথেই খারাপ আচরণ করে থাকেন। একজন শিক্ষক কর্মচারী বাদ নেই তার আক্রমণের শিকার হননি। শিক্ষক জহিরুল কাইয়ুম পাটোয়ারী জানান, ২০০৯ সালে প্রধান শিক্ষক যোগদানের পর থেকে স্কুলটির মান ক্ষূণ হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মশিউর রহমান ভূঁইয়া জানান, প্রধান শিক্ষক একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে আঘাত করতে পারেন না। আমি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
স্থানীয় এলাকাবাসী মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, আমরা বিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছি। আমাদের এলাকার সম্মান যাতে ক্ষুন্ন না হয় সেই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
১৮ মে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দেবনাথ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নেয়ামত উল্লাহকে মারধর করার পর তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সোমবার তিনি বিদ্যালয়ে আসেননি। সহকারী প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন।