স্টাফ রিপোর্টার : হাজীগঞ্জে প্রতারনার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন গ্রাম পুলিশের সদস্য। ১৯ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন।
এদিন দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে দেওয়া চাল-ডালসহ খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা গ্রহণের উদ্দেশ্যে তারা ইউএনও’র কার্যালয়ে আসেন।
এর আগে মাত্র দুই হাজার টাকায় রেজিস্ট্রেশনের বিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে চাল, ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ খাদ্য সামগ্রী এবং নগদ টাকা দেওয়া হবে। আর ইউএনওর কার্যালয় থেকে এসব খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা গ্রহণ করতে হবে। এমন প্রলোভনের শিকার হন গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
গ্রাম পুলিশের সদস্য আবু ইউছুফ জানান, একটি ফোন নম্বর থেকে তাকে বলা হয়, ওই নম্বরে ২ হাজার টাকা পাঠালে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে চাল, ডাল ও নগদ ৩ হাজার টাকাসহ মুল্যবান মালামাল দেয়া হবে এবং তা সোমবার ইউএনও অফিস থেকে গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি সরল মনে বিশ্বাস করে ওই নম্বরে ২ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেই। এভাবে আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন গ্রাম পুলিশ টাকা পাঠিয়েছে। এখন বুঝতে পারলাম, আমরা প্রতারনার শিকার হয়েছি।
অপর গ্রাম পুলিশ সদস্য হারাধন চক্রবর্তি বলেন, একই কথা বলে আমাকেও ফোন দিয়েছে, কিন্তু আমি কোন টাকা পাঠাইনি। পরে জানতে পেরেছি, আমাদের অনেকে টাকা পাঠিয়েছে। এখন দেখি ওই ফোন নম্বরগুলো বন্ধ।
জেলা গ্রাম পুলিশের সাধারন সম্পাদক নিত্ত নন্দন সূত্রধর জানান, আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য প্রতারনার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি জানাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের কার্যালয়ে এসেছি।
বিষয়টি দেখছেন উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, আজকাল বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা মানুষের কাছ থেকে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও আমাদের আশ-পাশের লোকজনের মাধ্যমে আমরা অনেকেই জানতে পেরেছি।
তিনি সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, কেউ এমন ফোন বা ম্যাসেজ পেলে অবশ্যই এর সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, থানা কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করবো। এর আগে আমরা সবধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকবো।