পাবনা: হলুদ খামের সেই গন্ধ,সেই চিঠি, সেই চিঠির লাল বাক্স-আজও মনে আছে অনেকের। নব্বইদশকের রং চটা জিন্স আর শার্টের বোতাম খোলা যুবকের মনে আজও দাগ কেটে আছে লাল রংয়ের এই চিঠির বাক্স। প্রিয়তমা কিংবা প্রিয়জন বন্ধুর একটু খোঁজ খবর,নেওয়ার মাধ্যম ছিলো হাতে লেখা চিঠি। অফিস দপ্তর গুলোতে কাগজ-পত্র আনা নেওয়ার জন্য ডাক বাক্স ব্যবহার হতো। আধুনিকতা আর ডিজিটালের ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছে চিঠি ও চিঠি ডাক বাক্স। আগের মতো চিঠি নেই আছে বাক্স। চিঠির অপেক্ষায় ডাক বাক্স অপেক্ষার এ প্রহর হয়তো শেষ হবে না। নতুন প্রজন্মের কাছে স্মার্ট ফোনের এস.এম.এস, ম্যাচেঞ্জার আর ই-মেইল এর যুগে কাগজ কলমের চিঠি-পত্র অতি অচেনা। পাবনা শহরের গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরী,এডওয়ার্ড কলেজ গেট,জেলা কারাগারের পাশে কয়েকটি স্থানে চোখে পড়বে লাল রঙের পুরোনো একটি চিঠির বাক্স। চিঠির স্মৃতি বহন করে চলছে এসব ডাক বাক্স। কিন্তু বাক্স গুলো খোলা,তালা নষ্ট, ভেতরটা অপরিচ্ছন্ন,নেই কোনো চিঠি। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই ফাঁকা পড়ে আছে বাক্স গুলো। এখন কেউ আগের মতো আর চিঠি লেখে না। যে দু-একটা চিঠি আসে,সেগুলো ডাকপিয়ন হাতে করেই পৌঁছে দেন। পুরোনো দিনের সাইকেলে চড়ে আসা ডাকপিয়ন পেশাটিও প্রায় বিলুপ্তর পথে। এখন কারো নতুন চাকরির চিঠি, মানি অর্ডার, কারো বা অন্য দরকারি চিঠি। কিন্তু তেমন ব্যক্তিগত চিঠি আসে না। পাবনা সদরসহ অন্যান উপজেলায় অনেকগুলো চিঠির বাক্স চোখে পড়ে। তবে ঠিক কতটি চিঠির বাক্স রয়েছে এবং সেগুলো আদৌ খোলা হয় কি না এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই খোদ পোস্ট অফিসের কাছে। আধুনিকতার এ যুগে চিঠির বাক্সের গুরুত্ব তেমন নেই; রিক্ততা আর উপেক্ষাই এগুলোর নিয়তি। চিঠির বাক্স গুলোর প্রাণ ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
Leave a Reply